নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানকে ব্যবসায়ী সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলায় আদালতে হাজির করা হয়েছে।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) দুপুর ১২টার দিকে তাকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (প্রথম আদালত) উম্মে সারবান তাহুরার আদালতে হাজির করা হয়।
এদিন আদালতে নিহত সাব্বির আলম খন্দকারের স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিন ও তার ভাই কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ সাক্ষ্য প্রদান করেন। এছাড়া আসামির পক্ষে ও বিপক্ষের আইনজীবীরা সাক্ষীদের জেরা করেন।
প্রায় দুই ঘণ্টারও অধিক সময় চলে সাক্ষীদের জেরা ও সাক্ষ্যগ্রহণ। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা সাক্ষীদের জেরার পাশাপাশি আসামির জামিন আবেদন করেন। এ সময় আদালত আসামির জামিন না মঞ্জুর করে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে আসামি পক্ষের আইনজীবী মো: রবিউল হোসেন বলেন, নারায়ণগঞ্জের একটি চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা হলো সাব্বির হত্যা মামলা। আজ এ মামলায় দু’জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। একজন নিহতের স্ত্রী, অপর জন্য নিহতের ভাই। তারা যা সাক্ষ্য দিয়েছেন, তা সব শোনা কথা। মামলার ঘটনার সম্পর্কে আসলে ওনারা কিছু দেখেননি, আর কিছু জানেনও না। আসামির রিলেটেড কোনো কিছুই ওনারা বলেননি।
তিনি বলেন, রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য তৈমূর আলম সাহেব যেভাবে মামলাটি সাজিয়েছেন, সেভাবেই তারা বক্তব্য রাখছে। এ ঘটনার সম্পর্কে ওনাদের জানা নেই। জাকির খান তখন দেশের বাইরে ছিলেন। তার সম্পর্কে সেভাবে তারা বক্তব্য উপস্থাপন করতে পারেনি। তবে আমরা আদালতের কাছে আজ জামিন চেয়েছিলাম, আদালত জামিন না মঞ্জুর করেছেন। তবে আমরা আশাবাদী আমরা জামিন পাবো।
এদিকে মামলার বাদী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন যদি সাব্বির আলম হত্যাকাণ্ডের বিচার না হয়, তাহলে এদেশে মানুষ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আর কথা বলতে পারবে না।
এদিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে আদালতে জাকির খানকে হাজির করা হয়। আদালতে জাকির খানকে হাজির করার খবরে তার শত শত কর্মীসমর্থকরা আদালত পাড়ায় ভিড় জমালে তার নিরাপত্তায় অনেকটাই বেগ পেতে হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। আদালতে জাকির খানকে হাজির করার সময় তার কর্মী সমর্থকদের তার মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। এ সময় তাদের স্লোগানে স্লোগানে অনেকটাই উত্তপ্ত হয়ে পড়ে আদালতপাড়া। পরে আইনশৃঙ্খবাহিনীর তৎপরতায় পরিস্থিতি শান্ত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৪
এমআরপি/জেএইচ