ঢাকা: গণমাধ্যম ও দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেওয়ায় আওয়ামী লীগ সভাপতিমন্ডলির সদস্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর উপর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন দলীয় নেতাকর্মীরা।
এরই মধ্যে বিষয়টি দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গোচরে আনা হয়েছে।
লতিফ সিদ্দিকীর বক্তব্য টেলিভিশন ও সংবাদপত্রে প্রকাশের পর দলের কয়েকজন নেতা এবং সাংসদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সরাসরি বিষয়টি জানিয়েছেন বলে একটি সূত্র বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানায়।
আগামী ১৬ জুলাই দলের কার্যনির্বাহি কমিটির সভায় বিষয়টি তোলা হতে পারে বলেও জানা গেছে।
উল্লেখ্য, আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী গত শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক অনুষ্ঠানে গণমাধ্যম এবং দলীয় নেতাকর্মীদের সমালোচনা করে বক্তব্য দেন।
বক্তব্যে লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বড় সমস্যা, তারা শুধু স্লোগান দেয় আর ধান্ধা করে। ’
সে সময় তিনি ছাত্রলীগকে নিজেদের মধ্যে মারামারি না করে প্রতিপক্ষকে মারারও পরামর্শ দেন।
সংবাদমাধ্যমের সমালোচনা করে লতিফ সিদ্দিকী সেদিন বলেন, ‘ক্যামেরাম্যানদের টাকা না দিলে টেলিভিশনে আমাদের সংবাদ প্রচার হয় না। মিডিয়ার মালিকরা যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে কথা বলে না। ’
দলের সভাপতিমন্ডলির একজন সদস্যের এ ধরনের বক্তব্য প্রতিবাদ ও পরোক্ষ সমালোচনা করেন অপর সদস্য ওবায়দুল কাদের।
রোববার রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অপর একটি অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘চাঁদাবাজি আমরা কে কতটা করি সেটা ব্যবসায়ীরা ভালো জানেন। ওয়ান ইলেভেনের পর রাজনীতিবিদরা নয়, সাংবাদিকরাই রাজনীতির অন্ধকারে আশার আলো জালিয়েছেন। কাঁচের ঘরে বসে ইট ছুঁড়ে কোনো লাভ নেই। মন্ত্রীরা ১৮ মাসে যদি যোগ্যতা অর্জন করতে না পারে তবে ১৮ বছরেও পারবে না। ’
এদিকে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর এ বক্তব্য প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে আজ সোমবার দলের সভাপতিমন্ডলির অপর একজন সদস্য বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘পাটমন্ত্রী গোটা সাংবাদিক সমাজকে আক্রামণ করেছেন। তিনি আওয়ামী লীগের ভাবমুর্তিকেও ক্ষুন্ন করেছেন। ’
তিনি আরও বলেন, ‘ছাত্রলীগ এমনিতেই বেপরোয়া, নতুন এ বক্তব্য দিয়ে তিনি তাদের আরো উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ’
দল এবং সরকারের দায়িত্বশীল অবস্থানে থেকে লতিফ সিদ্দিকী দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেননি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তার বক্তব্যে দলের নেতাকর্মীরাও ক্ষুব্ধ। ’
বাংলাদেশ সময় ১৯২২ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১০