ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

জনগণকে ‘দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধে’ অংশ নেওয়ার আহ্বান রবের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৩ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০২৪
জনগণকে ‘দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধে’ অংশ নেওয়ার আহ্বান রবের কথা বলছেন আ স ম আব্দুর রব।

ঢাকা: দেশের বর্তমান জাতীয়, ভূ-রাজনৈতিক ও সামাজিক বাস্তবতায় জনগণকে নতুন রণনীতি ও রণকৌশল নির্ধারণ করার আহ্বান জানিয়ে এই লড়াইকে ‘দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধে’ বলে অবহিত করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব। পাশাপাশি তিনি জনগণকে এই ‘যুদ্ধে’ অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

রোববার (৩ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে জেএসডির আয়োজিত ২ মার্চ ঐতিহাসিক পতাকা উত্তোলন দিবসের আলোচনা সভায় সেদিনের স্মৃতিচরণ করে তিনি এ আহ্বান জানান।

সভায় আ স ম আব্দুর রব বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের ভোটাধিকারকে হরণ করে, অন্যায়, অনৈতিক ও অপশাসন কায়েম করে মুক্তিযুদ্ধের কবর রচনা করেছে এবং সব অপকর্মে বঙ্গবন্ধুর নাম ব্যবহার করে বঙ্গবন্ধুকে ক্ষোভের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে। সুতরাং জাতীয়, ভূ-রাজনৈতিক ও সামাজিক বাস্তবতায় আমাদের রণনীতি রণকৌশল নির্ধারণ করতে হবে।

তিনি বলেন, এখন লড়াই করতে হবে রাষ্ট্রকে পুনরুদ্ধারের জন্য, রাষ্ট্র পুনর্গঠনের জন্য এবং জনগণের অংশগ্রহণমূলক রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রণয়ন করার জন্য। প্রচলিত ব্যক্তি কেন্দ্রিক বা শুধুমাত্র দল কেন্দ্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থা ছুড়ে ফেলে দিতে হবে। কারো কারো জন্য নয়, সবার জন্য রাষ্ট্র তৈরি করতে হবে। আর নবতর এই লড়াইয়ের নাম ‘দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ, যা ধ্বংসপ্রাপ্ত, দুর্বৃত্ত বৈশিষ্ট্যপূর্ণ এবং ব্যর্থ রাষ্ট্রকে উচ্চতম মানবিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রূপান্তর করবে।

দেশের সব নাগরিককে দল, মত, নির্বিশেষে সক্রিয়ভাবে ‘দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধে’ অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে রব বলেন, এই দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যেককে অর্থাৎ ছাত্র, শ্রমিক, পেশাজীবী, কর্মজীবী ও শ্রমজীবী সবাইকে স্ব স্ব জায়গা থেকে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আন্দোলন ও দেশ গঠন তথা জাতি বিনির্মাণে সবাইকে সম্পৃক্ত করতে হবে। এই ধরনের কার্যকর আন্দোলনে একদিকে জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠবে অন্যদিকে সরকারের পতন ত্বরান্বিত করবে। এটা নিপীড়নমূলক বাংলাদেশকে বদলে দেবে, অন্যায় অবিচারের হাহাকার বন্ধ হবে। গণমুখী শাসন কায়েম হবে। এটাই দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের তাৎপর্যপূর্ণ দিক। দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় রিপাবলিক প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

জেএসডির সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রবের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল পাটোয়ারির সঞ্চালণায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. আব্দুল মঈন খান, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, জাতীয় শ্রমিক জোটের সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হোসেন, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, জেএসডির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সানোয়ার হোসেন তালুকদার, জেএসডির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিরাজ মিয়া, জাতীয় আইনজীবী জোটের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট কে এম জামিল, জেএসডির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ এস এম আনোয়ার হোসেন, জেএসডির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক জোটের সভাপতি মো. মোশাররফ হোসেন, জাতীয় যুব পরিষদের সভাপতি এ এস এম শামসুল আলম নিক্সন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২৪
এসসি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।