ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বুয়েট জঙ্গিবাদের কারখানা হচ্ছে কি না, তদন্ত হচ্ছে: ওবায়দুল কাদের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪২ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২৪
বুয়েট জঙ্গিবাদের কারখানা হচ্ছে কি না, তদন্ত হচ্ছে: ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

ঢাকা: ছাত্ররাজনীতি বন্ধের নামে বুয়েটকে জঙ্গিবাদের কারখানায় পরিণত করা হচ্ছে কি না, তা তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার (৩১ মার্চ) তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম বিভাগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, বুয়েটে সেদিন কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না। আর আমি রাজনীতি করি বলে বুয়েটে যেতে পারব না, এটি কোন ধরনের আইন, কোন ধরনের নিয়ম? বুয়েটের ঘটনায় তদন্ত চলছে। আমরা খতিয়ে দেখছি। ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করার নামে বুয়েটকে অপরাজনীতি ও জঙ্গিবাদের কারখানায় পরিণত করা হচ্ছে কি না, আমরা তদন্ত করে দেখছি। এ রকম কিছু পাওয়া গেলে সরকারকে অ্যাকশনে যেতে হবে।

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা এমপি-মন্ত্রীরা যদি হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকি, তাহলে বিনা প্রতীকে নির্বাচনের উদ্দেশ্য সার্থক হবে। কেউ ক্ষমতার দাপট ও ক্ষমতার অপব্যবহার করবেন না। যার নির্বাচন করার ইচ্ছে আছে করবেন, সে স্বাধীনতা আছে। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। জনগণ যাকে ইচ্ছা নির্বাচিত করবে।  

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন স্বাধীন। যদি কোনো অনিয়ম মনে করে, তারা ব্যবস্থা নেবে। আমাদের দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। ভালোভাবেই চলছে সবকিছু। এর মধ্যে দায়িত্বশীলদের কিছু কথাবার্তা দলকে সংকটে ফেলে। ফ্রি স্টাইলে যা ইচ্ছে বলবেন -তা হবে না, দলের গঠনতন্ত্র, নিয়ম-কানুন আছে। এসবের অ্যাকশন আমরা নেব। ইতোমধ্যেই কিছু অ্যাকশনও নেওয়া হয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে বিতর্ক চলছে। এ বিতর্কের জবাবে আমরা মোটা দাগে বলি- পাঠক কখনো ঘোষক হতে পারে না। তাহলে এম এ মান্নান, সন্দীপ- এরাও তো স্বাধীনতার ঘোষক! তারপরও বড় কথা, এ ঘোষণার বৈধ অধিকার কার ছিল? বঙ্গবন্ধু ছাড়া আর কারো স্বাধীনতা ঘোষণার অধিকার ছিল না। সেই ম্যান্ডেট ৭০-এর নির্বাচনে জনগণ তাকে দিয়েছিল।  

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতার লিগ্যাসি। বঙ্গবন্ধুর পর অর্থনৈতিক মুক্তি সংগ্রামের লিগ্যাসি হিসেবে তার কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এই জনপদে সবার মৃত্যু হবে। নশ্বর পৃথিবীতে কিছুই অবিনশ্বর নয়। আজ বঙ্গবন্ধু নেই, শেখ হাসিনাও থাকবেন না। কিন্তু তাদের উত্তরাধিকারের কোনোদিনও মৃত্যু হবে না।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির নেতারা কেউ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কথা বলেন, আবার কেউ ভারতীয় পণ্য বর্জনের কথা বলেন। সেই পাকিস্তান আমলে যে ভাষায় আইয়ুব খান কথা বলেছিল, আজ সে ভাষায় কথা বলছে বিএনপি। তাদের সব ইস্যুই মার খেয়েছে ভোটে পরাজিত হয়ে। এখন তাদের ইস্যু ভারত বিরোধিতা। অ্যান্টি ইন্ডিয়া ফোবিয়া তৈরি করার ইস্যু খুঁজে নিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২৪
এসকে/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।