ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহে নিজের অনুসারীর গোপন ভিডিও ভাইরাল করার অভিযোগে জেলা যুব মহিলা লীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক স্বপ্না খন্দকারসহ ছয়জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
গত ২ মে ময়মনসিংহের সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা যুব মহিলা লীগের সদস্য রানী মালা।
সোমবার (৬ মে) দুপুর পৌনে ২টায় ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী রানী মালা সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আওয়ামী লীগ কর্মী কাজী বাবু, হীরা, মশিউর রহমান রানা এবং মোহাম্মদ রাকিবুল ও জাওয়াদ নির্ঝর।
জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট শাহজাহান কবীর সাজু বাংলানিউজকে জানান, আদালতের বিচারক কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বাদীর অভিযোগটি এফআইআর করার আদেশ দিয়েছেন।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, আদালতে করা মামলার একটি কপি হাতে পেয়েছি। এতে বাদীর অভিযোগটি এফআইআর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে গোপন ভিডিও ভাইরাল করার ঘটনায় বিচার দাবি করে সংবাদ সম্মেলনে রানী বলেন, আমি ষড়যন্ত্র ও প্রতারণার শিকার। আমার নেত্রী স্বপ্না খন্দকার তার সহযোগিদের নিয়ে আমাকে বাধ্য করে এ ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে। এতে আমি পারিবারিক ও সামাজিকভাবে বিপর্যস্ত। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
ভুক্তভোগী রানী আরও বলেন, আমার মতো অনেক নারী স্বপ্না খন্দকারের ষড়যন্ত্র ও প্রতারণার শিকার। কিন্তু ভয়ে কেউ স্বপ্নার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে চায় না। রাজনীতির আঁড়ালে এ ধরনের অপরাধের মাধ্যমে বিভিন্ন লোকদের জিম্মি করে টাকা হাতিয়ে নেওয়াই স্বপ্না খন্দকারের পেশা ও নেশা। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা ও উপজেলা যুব মহিলা লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তারাও এ মানহানিকর ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছেন।
তবে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও জেলা যুব মহিলা লীগের এক নম্বর সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক স্বপ্না খন্দকারের বক্তব্য জানা যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, মে ৬, ২০২৪
এসআই