ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

হামলা চালালে জনগণকে নিয়ে জামায়াত-শিবিরকে প্রতিরোধ করা হবে: লিটন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১, ২০২৪
হামলা চালালে জনগণকে নিয়ে জামায়াত-শিবিরকে প্রতিরোধ করা হবে: লিটন

রাজশাহী: কোনো হামলা চালালে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জামায়াত-শিবিরকে প্রতিরোধ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। শোকাবহ আগস্ট স্মরণে মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শোক পদযাত্রা শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

শোকাবহ আগস্ট স্মরণে অনুষ্ঠিত শোক পদযাত্রাটি বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মহানগরীর কুমারপাড়ায় থাকা মহানগর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বের করা হয়। এটি মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। বিশাল এ শোক পদযাত্রায় নেতৃত্ব দেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

শোক পদযাত্রা শেষে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দুই কন্যা ব্যতীত প্রায় সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকরা। সেই দিবস স্মরণে তারপর থেকে প্রত্যেক বছর সারা দেশেই সেটা আমরা ক্ষমতায় থাকি অথবা না থাকি, সুখে, থাকি অথবা দুঃখে থাকি, যেকোনো অবস্থাতে আমরা এ দিবসটিকে যথাযথ মর্যাদায় পালন করি। শ্রদ্ধা জানাই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে। তারই অংশ হিসেবে পহেলা আগস্ট রাজশাহী মহানগর ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে আমরা শোক মিছিল করেছি। ধারাবাহিকভাবে মাসব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে।

খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ১৯৭১ সালে তাদের পরাজয়ের পর থেকেই জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধের দাবি ছিল। জাতির পিতা ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিলেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর নির্মম মৃত্যুর পর খুনি চক্রের মূল পুরোধা জিয়াউর রহমান, তার সঙ্গে খন্দকার মোস্তাক গং, তারা সবাই মিলে আবারো ধর্মভিত্তিক রাজনীতি চালু করে। গোলাম আজমকে দেশে ফেরত আনে, জামায়াতে ইসলামীকে রাজনীতি করার অনুমতি দেয়, তারাই পথটি সুগম করে দেয়। দীর্ঘদিন পরও জামায়াত-শিবির তাদের অতীতের বীভৎসতা, সহিংসতা, পশ্চাৎমুখীতা থেকে তারা সরে আসেনি। তারা হত্যা, খুন, জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। সম্প্রতিকালে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ঢুকে তারা আবারও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, পরিকল্পিতভাবে আমাদের গর্বের ও অহংকারের স্থাপনাসমূহ ভাঙচুর ও আগুনে পুড়িয়েছে। তারা গণভবনসহ স্বাধীনতার বাড়িঘরগুলোকে টার্গেট করেছিল। সেই অপশক্তিকে আমরা এবারও পরাজিত করতে পেরেছি এবং সেই কারণে এবার আর বিলম্ব নয়, জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি চিরকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া দরকার।

তিনি আরও বলেন, অতীতেও যেকোনো দুঃসময়ে আমাদের নেতা-কর্মীরা এক আহ্বানে রাজপথে চলে এসেছে। আমরা এটি বারবার প্রমাণ দিয়েছি। জামায়াত-শিবির চোরাগোপ্তা হামলা চালাতে এলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা তাদের প্রতিহত করবো। কারণ জনগণ শান্তির পক্ষে, জ্বালাও-পোড়াও এর পক্ষে নয়।

শোক পদযাত্রায় রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, রেজাউল ইসলাম বাবুল, ডা. তবিবুর রহমান শেখ, নাঈমুল হুদা রানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, আসাদুজ্জামান আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম সরকার, মীর ইসতিয়াক আহম্মেদ লিমন, প্রচার সম্পাদক দিলীপ কুমার ঘোষ, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুসাব্বিরুল ইসলাম, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক জিয়া হাসান আজাদ হিমেল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ কবির সেন্টুসহ সব থানা আওয়ামী লীগ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০২৪
এসএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।