রাজশাহী: রাজশাহীর মোহনপুরে বিএনপির এক কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। এ সময় ঘটনাস্থলে বিএনপি নেতাকর্মীদের ৫টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার গোপালপুর মধ্যপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত বিএনপি কর্মীর নাম জয়নাল আবেদীন। সে ধুরোইল ইউনিয়নের কলেজপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি কর্মী জয়নাল আবেদীন (লেদ মেকার) ও তার ছেলে মনিরুলকে সঙ্গে নিয়ে মৌগাছি ইউনুয়নের গোপালপুর মধ্যপাড়া এলাকায় যাচ্ছিলেন। গোপালপুর এলাকায় পৌঁছালে শত্রুতার জেরে একই এলাকার মৃত সিদ্দিকের ছেলে কসাই রফিক (৫৫), তার বড় ছেলে বিপ্লব (৩২), ছোট ছেলে শামীম রেজা (২৮) ও মৌগাছি ইউপি চেয়ারম্যান আল-আমিন বিশ্বাসের নেতৃত্বে অজ্ঞাতনামা ৩০-৪০ জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী জয়নালকে ঘিরে ধরে ছুরিকাঘাত করে। এ সময় তার ছেলে দশম শ্রেণির ছাত্র মনিরুল ইসলামকেও (১৭) লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।
এ হামলার পর স্থানীয় গ্রামবাসী তাদেরকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (রামেক) নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসক জয়নালকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত বিএনপিকর্মীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পরে মর্গে পাঠানো হয়।
এদিকে বিএনপিকর্মীকে ছুরিকাঘাত ও নেতাকর্মীদের মারধর করা হচ্ছে এমন খবর পেয়ে ধুরোইল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোকলেসুর রহমান নেতাকর্মীদের উদ্ধার করতে যান। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা তাকেও চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে মোকলেসুরকে গুরুতর আহত অবস্থায় মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। বর্তমানে সেখানেই তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া হামলার সময় ঘটনাস্থলে বিএনপি নেতা মোকলেসুরের সঙ্গে থাকা বিএনপির অন্য নেতাকর্মীরাও বাঁশের লাঠির আঘাতে আহত হয়েছেন। তারাও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর সদস্যদের পাঠানো হয়। তারা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে সেনাবাহিনী কাজ করছে বলেও জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০২৪
এসএস/জেএইচ