ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

গফরগাঁওয়ে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্বে যুবদলের ২ কর্মী নিহত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০২৪
গফরগাঁওয়ে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্বে যুবদলের ২ কর্মী নিহত

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্বে যুবদলের দুই কর্মী নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন।

এনিয়ে উপজেলাজুড়ে সমালোচনার ঝড় বইছে।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) রাতে ও বুধবার দুপুরে পৃথক সংঘর্ষে তাদের মৃত্যু হয়। তবে এসব বিষয়ে প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলছেন না।

নিহতরা হলেন-উপজেলার ষোলাশিয়া গ্রামের মকবুল ইসলামের (মডু) ছেলে জসীম উদ্দিন (৩৪) এবং রৌহা গ্রামের বাবুল আকন্দের ছেলে মো. সবুজ আকন্দ (৩২)। তারা যুবদলের কর্মী বলে জানিয়েছে স্থানীয় একাধিক সূত্র।  

তবে ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহতদের মৃতদেহ দাফন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।  
স্থানীয়রা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলা যুবদল কর্মী জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে পৌর শহরের নতুনবাজার ম্যাক্সিস্ট্যান্ড দখল করতে যান তার সমর্থকরা। এসময় যুবদলের আরেক পক্ষ সুমনের সমর্থকদের সঙ্গে তাদের দ্বন্দ্ব হলে তাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে সুমনের সমর্থকরা জসিম উদ্দিনকে কুপিয়ে জখম করেন। এ অবস্থায় জসিমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ সংঘর্ষে তুষার, আবদুল হামিদ, মাহবুব, সুবল মোদক নামে যুবদলের আরও কয়েকজন কর্মী আহত হন। তারা বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এদিকে জসিম খুনের প্রতিবাদে তার মরদেহ নিয়ে পৌর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা। এতে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে বেশ কিছু বিএনপি নেতাকর্মীর বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

এর আগে গত মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে পৌর এলাকার কাচারি রোড রেলক্রসিং এলাকায় সবুজ আকন্দ (৩২) নামে যুবদলের আরেক কর্মী খুন হন। মেহেদী নামে এক যুবকের সঙ্গে নিজেদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে জানা যায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, সবুজ হত্যার ঘটনায় কোনো রাজনৈতিক বিষয় ছিল না। তারা সুযোগসন্ধানী, মাদকসেবী ও অপরাধী। তাদের কোনো নির্দিষ্ট দল নেই।  

সবুজ আকন্দের মামা মো. কামাল উদ্দিন বলেন, প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত করে আমার ভাগ্নেকে (সবুজ আকন্দ) হত্যা করা হয়েছে।

বিএনপি সূত্র জানায়, গফরগাঁও উপজেলায় বিএনপি পাঁচটি গ্রুপে বিভক্ত। এতে রয়েছে নেতায় নেতায় দ্বন্দ্ব। কেউ কারো নেতৃত্ব মানতে নারাজ। মূলত নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বে এ দুটি খুনের ঘটনা ঘটেছে।

এ বিষয়ে বিএনপির ময়মনসিংহ বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ বলেন, নিহত দুজনই যুবদলের কর্মী বলে শুনেছি। বিস্তারিত জেনে বলা যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০২৪
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।