নাটোর: আওয়ামী লীগকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংঠনিক সম্পাদক, সাবেক উপমন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, শেখ হাসিনা সারাদেশে হাজার হাজার ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেছে। তাই এদেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে নাটোর শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে জেলা বিএনপির আয়োজনে বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু শেখ হাসিনার সরকার পতনকারী ছাত্র-জনতাকে অভিনন্দন জানান।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চুর সভাপতিত্বে জনসভায় দুলু বলেন, নিজেকে জনপ্রিয় ও দেশের উন্নয়নের রুপকার দাবি করা শেখ হাসিনা শুধু দেশকেই নয়, আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করে পালিয়ে গেছেন। শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের কর্মীদের বিপদের মুখে ঠেলে পালিয়ে যাওয়ায় এখন দেশে আওয়ামী লীগের নাম-নিশানা-চিহ্নও নেই। ভোটারবিহীন সন্ত্রাসীদের হাসিনা এমপি বানিয়ে ছিল, তাদেরকেও বিপদে রেখে গেছেন। এসব এমপিরা জনগণের টাকা মেরে বিশাল অট্টালিকা বানিয়েছে। বিদেশে বাড়ি করেছে, তারা আজ দেশ থেকে পালিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত সাড়ে ১৫ বছর নাটোরের মানুষ কথা বলতে পারেনি। নাটোরের সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগ ধ্বংস হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছর ধরে আমার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে রেখেছে। আমি টাকা তুলতে পারি না, খরচ করতে পারি না। আমার নাটোরের মানুষ আমাকে চাল পাঠায়, মাছ পাঠায়, সবজি পাঠায় তা দিয়ে আমার চলে। আমি শেষ করতে পারি না। আর আওয়ামী লীগ নেতারা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লুট করা টাকা, চাকরি দেওয়ার নামে মেথরের টাকা, শিক্ষক নিয়োগের টাকা, জমির টাকা, চাঁদা তুলে টাকা নিয়ে বিদেশে বাড়ি কিনে। আমি বাবার জমিতে এমপি থাকার সময় সামান্য তিনতলার একটি বাড়ি বানিয়েছি। তাও তারা ভেঙে ক্ষত-বিক্ষত করে দিয়েছে।
এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, যতদিন পর্যন্ত দেশের স্বাভাবিক অবস্থা না ফিরবে আপনারা নেতাকর্মী মাঠে থাকবেন। নাটোরের কোনো মানুষের ওপর যেন নির্যাতন, অন্যায়, তাদের বাড়িঘর লুটপাট না হয় সেজন্য সজাগ থাকবেন। আমার নেতাকর্মীরা আপনারা হিন্দু ভাইদের যাতে কোনো ক্ষতি না হয় সেজন্য তাদের পাশে থাকবেন বলে যোগ করেন তিনি।
জনসভায় অনান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ, যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন, সাবেক পৌর মেয়র কাজী শাহ আলম, জেলা বিএনপির অন্যতম সদস্য সাবিনা ইয়াসমিন ছবিসহ বিভিন্ন উপজেলার বিএনপি নেতারা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন-সাবেক সংসদ সদস্য কাজী গোলাম মোর্শেদ, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আলম আবুল, সেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাসেল আহম্মেদ রনি, যুবদলের সভাপতি এ হাই তালুকদার ডালিম, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি কামরুল ইসলামসহ বিএনপির বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০২৪
জেএইচ