ব্রাহ্মণবাড়িয়া: শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর পরই পালাতে শুরু করেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। সেই তালিকায় রয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও প্রভাবশালী মেয়র তাকজিল খলিফা কাজলও।
তিনি সদ্য সাবেক আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হকের ঘনিষ্ঠজন বলে পরিচিত।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত সোমবার (৫ আগস্ট) দুপুরে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর বিক্ষুব্ধ জনতা তার পৌরশহরের রাধানগরে মেয়রের বাসভবনে হামলা চালান। এসময় মেয়র তাকজিল বাসা থেকে লাফিয়ে পাশের দিঘি দিয়ে সাঁতরে পালিয়ে যান। এসময় তাকে হাতজোড় করে ক্ষমা চাইতেও দেখা গেছে। দিঘিতে সাঁতরে তার পালানোর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, দিঘির পানিতে ঝাঁপ দেন তাকজিল। এসময় জনতা তাকে দেখে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকেন। কোনো রকমে সাঁতরে ওপারে গিয়ে পালিয়ে রক্ষা পান তিনি।
আন্দোলনকারীরা বলেন, তাকজিলের বাসভবনে হামলার সময় তার বাসার ছাদ থেকে পাথর, ইট-পাটকেল ছোড়া হয়। তাছাড়া ককটেল বিস্ফোরণ ও একাধিক গুলির শব্দও শুনতে পান তারা (আন্দোলনকারীরা)। এতে একাধিক বিক্ষোভকারী আহত হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই বিক্ষুব্ধ লোকজন মেয়রের বাসভবনে ঢুকে ভাঙচুর করে আসবাবপত্রে আগুন ধরিয়ে দেন।
উপজেলা বিএনপি একাধিক নেতা বলেন, আখাউড়ায় এক নায়কতন্ত্র চলেছে। সদ্য সাবেক আইনমন্ত্রীর ক্ষমতাকে ব্যবহার করে পৌর মেয়র তাকজিল ভয়ভীতি দেখিয়ে, মামলা করে বিএনপি নেতাদের কোণঠাসা করে রেখেছিলেন। কোথাও কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে দেওয়া হয়নি। তার অত্যাচারে কেউ কথা বলতে সাহস পায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৯ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০২৪
এসআই