ময়মনসিংহ: বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (ময়মনসিংহ বিভাগ) আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ বলেছেন, ৪ আগস্টের আগে সবাই আওয়ামী লীগ ছিল, এখন সবাই বিএনপির হয়ে গেছে। এটা ঠিক না।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে সংখ্যালঘু ও ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
দেশের পটপরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ‘শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা, নিরাপত্তা ও ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায়’ ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব আয়োজিত এই সভায় তিনি আরও বলেন, আমি সংখ্যালঘু বলতে রাজি না। আমরা সবাই একসঙ্গে মিলেমিশে থাকি। এই ঐক্য ধরে রাখতে আমরা সর্বদা সচেষ্ট। দুদিন আগে যা হয়েছে, তা দুর্ঘটনা। ইতোমধ্যে ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষার পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিএনপির ১১টি অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা পাড়া মহল্লায় দলে দলে কাজ করছেন। আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন দলের কেউ কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলায় জড়িত থাকলে তাকেও কঠোরভাবে দমন করা হবে। কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
সভায় মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর মাহমুদ আলম, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার, মহানগরের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী রানা, শাহ শিব্বির আহম্মেদ ভুলু, একেএম মাহাবুবুল আলম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক কোষাধক্ষ রতন আকন্দ, দক্ষিণ জেলা যুবদল সভাপতি রোকনুজ্জামান সরকার রোকন, ছাত্রদল সভাপতি মাহাবুবুর রহমান রানা প্রমুখ।
এর আগে জেলা জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে মতবিনিময় করেন সংখ্যালঘু ও ব্যবসায়ী নেতারা।
এ সময় জামায়াত নেতারাও তাদের সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আশ্বাস দিয়ে বলেন, জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা কখনো কোনো ধরনের ভাঙচুর, বিশৃঙ্খলা ও লুটপাটের সঙ্গে জড়িত নয়। প্রমাণ দিতে পারলে কঠোরভাবে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এতে জেলা জামায়াতের আমির আব্দুল করিম, সেক্রেটারি মোজাম্মেল হক, জামায়াত নেতা ইমরুল কায়েস, কামরুল ইসলাম মিলন প্রমুখ।
সভায় প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোশারফ হোসেনের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক অমিত রায়ের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন ব্যবসায়ী নেতা তাশবাক হোসেন বাবুল, বিধু সাহা, রাখাল পাল, তৌহিদুজ্জামান ছোটন, স্বপন সেন গুপ্ত প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০২৪
এসআরএস