ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতন হয়েছে: সাবেক এমপি কিরণ

ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২৪
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতন হয়েছে: সাবেক এমপি কিরণ

শরীয়তপুর: শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য সফিকুর রহমান কিরণ বলেছেন, ছাত্র-জনতার দুর্বার আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয়েছে। কোনো স্বৈরশাসক কখনোই চিরস্থায়ীভাবে ক্ষমতায় থাকতে পারেনি।

অসংখ্য ছাত্রদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ নতুন করে স্বাধীনতা পেয়েছে। এ নিষ্পাপ শিক্ষার্থীদের হত্যা করতে স্বৈরাচারী হাসিনার সরকারের হাত কাঁপেনি। অত্যাচারী, জুলুমকারীদের পতন অনিবার্য। কারণ হাসিনার শুধু ক্ষমতাই ছাড়তে হয়নি, ন্যক্কারজনকভাবে পালিয়ে যেতে হয়েছে তাকে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদদের বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপির পক্ষে কবর জিয়ারত, সমবেদনা ও  নগদ সহায়তা প্রদানের জন্য শনিবার (১০ আগস্ট) দিনব্যাপী শরীয়তপুরের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে পথসভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগদিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। এছাড়া শহীদ পরিবারগুলোকে মাসিক অর্থ সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি।

তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার দাবিতেই একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়েছে। আমরা বাংলাদেশের মানুষ। এখানে কে কোন ধর্মের তা বিষয় নয়। বিষয় একটাই সবাইকে নিরাপদে ও শান্তিতে রাখতে হবে। নতুন প্রজন্মকে ঠাণ্ডা মাথায় এগিয়ে চলতে হবে। কারণ, তারাই আমাদের ভবিষ্যৎ ভবিষ্যতে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সে নির্বাচনে জনগণের রায় বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি আবারও ক্ষমতায় আসবে।

সাবেক এমপি কিরণ আরও  বলেন, বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতি নয়, শান্তির রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। আওয়ামী লীগের উন্নয়নের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। বিচারবহির্ভূত হত্যা করেছে। ভিন্নমত হলেই হত্যা, গুম, জেল, জুলুম নির্যাতন করেছে। এমনকি আয়নাঘর নামে একটি গোপন স্থানে দিনের পর দিন তাদের আটকে নির্যাতন করেছে। বাংলাদেশের মানুষ শান্তি প্রিয় মানুষ। তারা শান্তিতে থাকতে চায়। স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের দুর্বিষহ শাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার শক্তিতেই দেশের মাটি ও মানুষের মুক্তি অর্জিত হয়েছে। ফিরেছে অধিকার।  

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন, শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সংসদ সদস্য  বীর মুক্তিযোদ্ধা সরদার একেএম নাসির উদ্দীন কালু, সহ-সভাপতি শাহ মো. আব্দুস সালাম, আলহাজ্ব সিরাজুল হক মোল্যা, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম কাশেম, বিএম হারুন অর রশিদ, যুগ্ম সাধারণ মাহবুব মোর্শেদ টিপু, প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক ভিপি নাজমুল হক বাদল, সহ-প্রচার সম্পাদক মৃধা নজরুল কবির, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আফজাল হোসেন, সদস্য অ্যাডভোকেট এনামুল হক এনাম, জাজিরা উপজেলার সভাপতি বজলুর রশিদ সিকদার, সাবেক ছাত্রনেতা ইলোরা হাওলাদার, জিয়াউর হক মোল্যাসহ দলীয় বিপুল সংখ্যক নেতা।

পরে জেলা শহরের ধানুকায় এবং তার নির্বাচনী এলাকা শরীয়তপুর-২ আসনের নড়িয়া উপজেলা ও সখিপুর থানার বিভিন্ন এলাকায় পথসভা এবং দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২৪
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।