টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলে দেশের চলমান পরিস্থিতি ও জামায়াত ইসলাম বাংলাদেশের কার্যক্রম বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে দলটির টাঙ্গাইল জেলা শাখা।
শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব হল রুমে এ মতবিনিময় সভা হয়।
টাঙ্গাইল জেলা শাখার আমির আহসান হাবিব মাসুদ আন্দোলনসহ দলের বর্তমান কার্যক্রম তুলে ধরেন। এ সময় তিনি জানান প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কমিটি গঠন করে দলমত নির্বিশেষে মানুষের জানমালের নিরাপত্তাসহ নানামুখী কল্যাণকর কাজ পরিচালনা করছেন। এছাড়া থানা, হিন্দুদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তার বিধানেও তাদের কর্মীরা নিয়োজিত রয়েছেন।
পরে তিনি সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাবে বলেন, দলটি নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল নিয়ে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছে না। তবে দ্রুত সময়ে নিবন্ধন ফিরে পেতে আপিল করবেন তারা।
এ সময় মুক্তিযুদ্ধে তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে জেলা শাখার আমির বলেন, জামায়াতে ইসলাম আমরা মুক্তিযুদ্ধকে সর্বোচ্চ মুল্যায়ন করি। জামায়াত ইসলাম ক্ষমতায় গেলে মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ মুল্যায়ন করা হবে।
এ সময় তিনি দাবি করে বলেন, আমাদের সংগঠনে টাঙ্গাইল জেলাতেই ২৬৫ জন মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে।
চলমান আন্দোলনে সারাদেশে আমাদের ২৪ জন শহীদ হয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। তবে দ্বিতীয় মুক্তিযোদ্ধাদের আমরা আরও বেশি সম্মান জানাই।
এ সময় তিনি আরও বলেন, জামায়াতের আমিরসহ শীর্ষ নেতাদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। এ বিচার আমরা মানি না। অন্যায়ভাবে তাদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ৭২ সালেই কেন মামলা করা হলো না? আবার ক্ষমা করলেন? যাদের নাম নেই তাদের কেন এত বছর পরে অন্যায় ভাবে ফাঁস দেওয়া হলো? তাই মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এখনই আমরা বেশি কিছু বলতে চাই না। ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হলেই ৭১ সালে জামায়াতের ভূমিকার সত্যতা বেরিয়ে আসবে।
জামায়াতে ইসলাম কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন নয় দাবি করে বলেন, এতদিন হিন্দুদের যে জায়গা জমি দখল হয়েছে তা কারা করেছেন সবাই জানে। কিন্ত এরকম কারও এক ইঞ্চি জায়গা দখল করেছে জামায়াত ইসলাম, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে, কেউ প্রমাণ দিতে পারলে তারা কখনো জামায়াত ইসলাম দল করবো না।
এ সময় দলটির জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর, সহ সেক্রেটারি হুসনি মোবারক বাবুল, শহিদুল ইসলামসহ ছাত্র শিবিরের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২৪
জেএইচ