ঢাকা, রবিবার, ১৭ ভাদ্র ১৪৩১, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ সফর ১৪৪৬

রাজনীতি

কোনো রাজ‌নৈতিক দ‌লে আর না যাওয়ার ঘোষণা আবদুল ল‌তিফ সি‌দ্দিকীর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২৪
কোনো রাজ‌নৈতিক দ‌লে আর না যাওয়ার ঘোষণা আবদুল ল‌তিফ সি‌দ্দিকীর

টাঙ্গাইল: সা‌বেক মন্ত্রী ও প্রবীণ নেতা আবদুল ল‌তিফ সি‌দ্দিকী ব‌লে‌ছেন, আজও বাংলার গণমানুষের, অধিকার বঞ্চিত মানুষের, নিপীড়িত মানুষের, অসহায় মানুষের কণ্ঠস্বর হিসেবে পরিচিত বীরউত্তম কাদের সিদ্দিকীকে আমি সমর্থন করি। তার সঙ্গে আমি আমৃত্যু থাকব।

কিন্তু কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আমি আর জীবনে সম্পৃক্ত হবো না, এটা মাওলানা ভাসানীর মাজারে দাঁড়িয়ে বললাম।  

শনিবার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের সন্তোষে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর মাজার জিয়ারত শেষে তিনি এ কথা বলেন।

এসময় তার ছোট ভাই কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী ব‌লেন, একটা বিজয়, আরেকটা পরাজয়ের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। একটা পরাজয় বিজয়ের প্রথম ধাপ। সেই জন্য যারা বিজয় অর্জন করেছেন, তাদের মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে। মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে হবে। মানুষকে বাঁচাতে হবে। আমি অভিনন্দন জানাই, কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যে ছাত্র ও যুবকরা এ মহান বিজয় এনেছেন, তাদের ও তাদের বিজয়কে অভিনন্দন জানাই।  

তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারকে হুঁশিয়ারিও দিতে চাই। অতীতের সরকাররা যেভাবে করেছে। বর্তমান সরকার সেইভাবে করলে তাদেরও ভবিষ্যৎ অন্ধকার হবে। তাদের ভবিষ্যৎ কোনোভাবে আলোকিত হতে পারে না। সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দিতে হবে। পুলিশ তো আজ থানায় নাই, ঘরে বসে আছে। পুলিশদেরও বলবো, তোমরা থানায় যাও। এতো বীর হয়েছিলে এক সময় অন্যায় হুকুম মানার জন্য, আজ আইনের বাইরে তোমরা পা ফেলবে না। আইন মতো চললে তোমাদের কেউ কিছু বললে, আমরা তোমাদের পাশে আছি। এদেশের জনগণ তোমাদের পাশে আছে।  

কাদের সিদ্দিকী বলেন, দেশে কোনো রকম ভাঙচুর, কোনো রকম অগ্নিসংযোগ আর যেন কেউ না করে। কমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে যারা শত্রুতা সাধন করবে, শত্রুতা সাধনের চেষ্টা করবে তাদের ভবিষ্যৎ ভালো হবে না।  

তিনি আরও বলেন, আজ দেশ জ্বলছে। ১৯৭১ সালে আমরা যে বিজয় এনেছিলাম, আজকের ছাত্র, আজকের যুবক সেই বিজয় এনেছে। আজকে দেশের মানুষ যেভাবে অবহেলিত হয়েছে, অসম্মানিত হয়েছে, তার বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে আজকের এ ক্ষোভ।  

বেশ কিছুদিন পর আমি হুজুর মাওলানা ভাসানীর মাজারে এসেছি। এজন্য মাজারে এসেছি, আগামী ১৬ আগস্ট আমি টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধুর মাজারে যাব। বঙ্গবন্ধুর কবর জিয়ারত করতে যাব। আমি ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খাওয়া পছন্দ করি না। আমি জানি হুজুর মাওলানা ভাসানী না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। হুজুর মাওলানা ভাসানী না হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হতেন না। সেই জন্য আমি আগে হুজুর মাওলানা ভাসানীর কবর জিয়ারত করতে এসেছি। তার কাছে দোয়া চাইতে এসেছি, যোগ করেন তিনি।  

এসময় প্রবীণ এ দুই নেতার ছোট ভাই কালিহাতী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল মনছুর আজাদ সিদ্দিকী এবং কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২৪
এসআই


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।