ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৭ ভাদ্র ১৪৩১, ২২ আগস্ট ২০২৪, ১৬ সফর ১৪৪৬

রাজনীতি

গ্রীষ্মে বানায় মরুভূমি, বর্ষার সময় ছেড়ে দেয় পানি: জামায়াতের আমির

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২৪
গ্রীষ্মে বানায় মরুভূমি, বর্ষার সময় ছেড়ে দেয় পানি: জামায়াতের আমির

লক্ষ্মীপুর: প্রতিবেশী দেশ ভারতের প্রতি তোপ দেগেছেন জামায়াত ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। শুষ্ক মৌসুমে দেশটি পানি আটকে রাখে, বর্ষায় ছেড়ে দেয় বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

বুধবার (২২ আগস্ট) দুপুরে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর পোড়াগাছা ইউনিয়নের শেখের কেল্লা এলাকায় পানিবন্দি দুর্গত বাসিন্দাদের  ত্রাণ দেওয়ার সময় তিনি এ অভিযোগ করেন।

জামায়াতে আমির বলেন, আমরা শুনে আসছি, প্রতিবেশী ওই দেশ আমাদের সবচেয়ে বড় বন্ধু। গ্রীষ্মে যখন পানির প্রয়োজন হয়, তখন আমাদেরকে পানি না দিয়ে পিপাসাক্ত করে দেয়। গ্রীষ্মে বানায় মরুভূমি, আর বর্ষার সময় পানি ছেড়ে দেয়। আমরা অবাক।

তিনি বলেন, আমাদের একটা সরকার ছিল, সাড়ে ১৫ বছর। তারা বলতো আমাদের দেশকে সিঙ্গাপুর বানায় ছাড়ছে। এ হলো সিঙ্গাপুরের দৃশ্য! তারা বলতো এটা কানাডা, এ হলো কানাডার দৃশ্য! এগুলো সব ছিল মিথ্যা ও বোগাস। তারা জনগণের সমস্ত অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। মানুষ তার নিজের বাসায় একটা পর্দা টানালে বলতো- এ ঘরে জঙ্গি আছে। ওদের মাথায়, ওদের মগজে সব সময় জঙ্গি জঙ্গি ভাব ছিল। আসল জঙ্গি তারা। তারা মাথায় হেলমেট নিয়ে হাতে মুগুর নিয়ে মানুষের ওপর আক্রমণ চালাতো। এরা আসল জঙ্গি।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমাদের ছাত্র, তরুণ, যুব সমাজ তাদের সামনে বুক পেতে দিয়ে, বুকের মধ্যে গুলি নিয়ে তাদেরকে তাড়িয়েছে বাংলার বুক থেকে। একটা শাসক সাড়ে ১৫ বছর দেশ শাসন করলো, তাকে পালাতে হবে কেন? তারা বলতো- আমাদেরকে নাকি উন্নয়নের মহাসড়কে উঠিয়েছে। আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করি, তিনি আমাদের থেকে জালিম বিদায় করেছেন। চিরতরে যেন এ জালিমের বিদায় হয়। আর কোনো জালিমের আগমন না ঘটে। দেশ যেন সুবিচারের ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রত্যেকটা মা-বোন, ভাইয়েরা যাতে সম্মানের সাথে বসবাস করতে পারে। ইজ্জত, দ্বীন, ইমান, ধর্ম নিয়ে বেঁচে থাকতে পারে।

তিনি আরও বলেন, প্রত্যেক ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করবে। কেউ কাউকে বাঁধা দেবে না। আফসোস, বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ মুসলমান, তার জন্য একমাত্র সংখ্যালঘু মুসলমান হচ্ছে বাংলাদেশে। সকল ধর্মের মানুষ তার ধর্মীয় অনুশাসন পালন করে, তাতে বাঁধা নেই। কিন্তু একজন খতিবকে মিম্বরে দাঁড়িয়ে তার ইচ্ছে মতো বক্তব্য দিতে দেবে না। ওয়াজ মাহফিলের মাইক কেড়ে নেবে। তফসির মাহফিলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে। ১৪৪ ধারা জারি করবে। পুলিশ পাঠিয়ে দেবে, ওয়াজ-মাহফিল বন্ধ করবে। বাংলার মানুষ আর ভবিষ্যতে তা হতে দেবে না। ১৮ কোটি মানুষ ৩৬ কোটি হাতে হাত রেখে বাংলাদেশকে শান্তি, সমৃদ্ধি এবং অগ্রগতির দিকে এগিয়ে নেব। এ জন্য আপনাদের, দোয়া, সাহায্য এবং ভালোবাসা চাই।

বক্তব্য শেষে দুর্যোগের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে দোয়া করেন জামায়াতের এ নেতা।

ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় নেতা দ্বীন মোহাম্মদ, সহ সেক্রেটারি মাওলানা এটিএম মাছুম, জেলা জামায়াতের আমির রুহুল আমিন ভূইয়া, নায়েবে আমির এআর হাফিজ উল্যা, সেক্রেটারি ফারুক হোসেন নুরনবী, সহ সেক্রেটারি এডভোকেট নাছির উদ্দিন মাহমুদ, মহসিন কবির মুরাদ, জেলা প্রচার সম্পাদক সরদার সৈয়দ আহমদ, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক আবদুর রহমান, শহর আমির আবু ফারাহ নিশান, শিবিরের জেলা সভাপতি আরমান পাটওয়ারী, সেক্রেটারি ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২৪
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।