ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

স্বৈরশাসনের অবসান হলেও সুবিধাভোগীরা অপচেষ্টা শুরু করেছে: চরমোনাই পীর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০২৪
স্বৈরশাসনের অবসান হলেও সুবিধাভোগীরা অপচেষ্টা শুরু করেছে: চরমোনাই পীর

বরিশাল: স্বৈরশাসনের অবসান হলেও সুবিধাভোগীরা তাদের অপচেষ্টা শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর)।

সোমবার (২৬ আগস্ট) নগ‌রের চাঁদমারি এমসি অডিটোরিয়ামে সংগঠনটির বরিশাল জেলা তৃণমূল প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

চরমোনাই পীর বলেন, দেশের জনগণ এক কঠিন সময় পার করছে। স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের জুলুম, নির্যাতন, দেশের সম্পদ লুটপাট, স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে আমাদের বাংলাদেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানানোর গভীর ষড়যন্ত্র রুখে দিতে দেশের ছাত্র সমাজ, দেশপ্রেমিক, ইসলাম প্রিয় জনতা রক্ত দিয়েছে, জীবন দিয়েছে।

এখনো আহত অনেক ছাত্র-জনতা মেডিকেলের বেডে কাতরাচ্ছে। অপরদিকে দেশের ১১ জেলার জনগণ বন্যায় পানিবন্দি হয়ে দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে। তাদের থাকার জায়গা নেই, তারা খুবই করুণভাবে দিননিপাত করছেন। অনেকে মৃত্যুবরণ করেছেন, অনেকে নিখোঁজ হয়েছেন। ভারত আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ফারাক্কার বাঁধ ছেড়ে দিয়ে বাংলাদেশের জনগণের সাথে তামাশা করছে। আমরা ভারত সরকারকে বলছি, বাংলাদেশ-ভারত প্রতিবেশী দেশ। প্রতিবেশী দেশের সাথে এমন বে-আইনি ও অমানবিক আচরণ বন্ধ করুন। না হয় বাংলাদেশের জনগণ উপযুক্ত সময় এর কঠিন জবাব দেবে।

সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর আরও বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের দায়িত্বশীল, কর্মীদেরকে বন্যাদুর্গত এলাকায় বানভাসি অসহায় মানবতার পাশে দাঁড়িয়ে সাধ্য অনুযায়ী খেদমত করে যাচ্ছে। আমি আহ্বান করছি, দলমত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলে এগিয়ে আসুন। যাতে বন্যাদুর্গত এলাকার অসহায় ভাই-বোন ও সন্তানদের প্রয়োজনীয় খাবার, ওষুধ, পোশাক ও মাথা গোঁজার ব্যবস্থা হয়।

জেলা সভাপতি মুফতি সৈয়দ এছহাক মুহাম্মাদ আবুল খায়েরের সভাপতিত্বে তৃণমূল দায়িত্বশীল সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মাদ লোকমান হোসেন জাফরী। কেন্দ্রীয় মহিলা ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দীন, কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মাদ এ. বি. এম জাকারিয়া।

আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর সভাপতি প্রফেসর লোকমান হাকিম, জেলা সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল মালেক কাফরা, নগর সহ-সভাপতি শেখ সামছুল আলম মিলন, জেলা সেক্রেটারি উপাধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম, মহানগর সেক্রেটারি মাওলানা আবুল খায়ের, জেলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মুহাম্মাদ কাওছারুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হাফিজুর রহমান, প্রচার সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মাদ আবুল কালাম আজাদ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০২৪
এমএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।