ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

আমরা ১৫ বছরে পারিনি, আর ছত্রিশ দিনেই গণবিপ্লব ঘটিয়েছে ছাত্র-জনতা: জামায়াত নেতা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০২৪
আমরা ১৫ বছরে পারিনি, আর ছত্রিশ দিনেই গণবিপ্লব ঘটিয়েছে ছাত্র-জনতা: জামায়াত নেতা

মানিকগঞ্জ: জামায়েত ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ বলেছেন, আমরা গত ১৫ বছর স্বৈরাচারী সরকারের শাসনামলে নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছি। বিএনপি-জামায়াতসহ আরো অন্যান্য দল মিলে আন্দোলন করেছিলাম, আমাদের সাধ্য অনুসারে চেষ্টা করেছি।

কিন্তু আমরা পারিনি তবে পেরেছে আমাদের সন্তানেরা,ছাত্র-জনতা মিলে ৩৬ দিনেই গণবিপ্লব ঘটিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সকালের দিকে জেলার সাটুরিয়া উপজেলার দরগ্রাম ইউনিয়ন ও দুপুরের শিবালয় উপজেলার রুপসা এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নিহত আফিকুল ইসলাম সাদ এবং রফিকুল ইসলামের কবর জিয়ারত শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ বলেন, এই জুলুমতন্ত্র কোন পর্যায়ে গেলে, দেশের সাধারণ মানুষদের আয়নাঘরে নিয়ে মাসের পর মাস, বছরের পর বছর ধরে নির্যাতন করা হতো। ব্যারিস্টার আরমান, জেনারেল আযমীকে দীর্ঘ সময় আটকে রেখে তাদের নির্যাতন করা হয়েছে এবং একইভাবে দেশের শত শত মানুষকে একই কায়দায় নির্যাতন দমন করা হয়েছে।  

তিনি বলেন, স্বৈরশাসক সরকার বিদেশ থেকে ১৮ লাখ ৩৬ হাজার ঋণ করে উন্নয়নের নামে বড় বড় প্রকল্প হাতে নিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছে। ব্যাংকগুলোকে ফোকলা করে দিয়েছে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা চরম ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের নেতারা এ দেশ থেকে দুর্নীতি করে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে।

কেন্দ্রীয় জামায়েত ইসলামীর এই নেতা আরও বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে ১৮ কোটি জনতা তাদের জীবন পরিচালনা করতে নাভিশ্বাস ছুটেছেন। অর্থনৈতিক খাতে চরম দুর্নীতিতে ভরে গেছে, দুঃশাসনে নির্যাতিত, নিপীড়িত হয়েছে আমাদের সমাজের মানুষ। স্বৈরশাসকের ৫ আগস্টের কারফিউ ভেঙে দেশের ছাত্র-জনতা রাজপথে নেমে এসেছে এবং এক ঐতিহাসিক বিপ্লব ঘটিয়েছে।  

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন - জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা উত্তর অঞ্চলের কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা দেলওয়ার হোসাইন, জেলা আমীর হাফেজ মাওলানা কামরুল ইসলাম, সাটুরিয়া উপজেলার আমীর আবু সাঈদ (বিএসসি),শিবালয় উপজেলা আমীর হাফেজ মো. হাতেম আলীসহ আরো অনেকে।

উল্লেখ্য, সোমবার (৫ আগস্ট) দুপুরের দিকে ঢাকা জেলার ধামরাইয়ে হার্ডিঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সামনে মিছিল করা অবস্থায় পুলিশের গুলিতে আহত হন সাদ। পরে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় (৮ আগস্ট) মারা যান সাদ। মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়া ঘাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা মিছিল নিয়ে যাওয়ার পথে নৌ-পুলিশ গুলি বর্ষণ করে এবং সেই গুলিতে রফিকুল ইসলাম গুরুত্ব আহত হন। রফিকুল ইসলামকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  

জামায়াত ইসলামী তাদের নিজ দলের ফান্ড থেকে দুই নিহতের পরিবারকে দুই লাখ করে মোট চার লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০২৪
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।