ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

হামলা-ভাঙচুরের ১০ বছর পর আ.লীগ নেতাদের নামে মামলা  

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৪
হামলা-ভাঙচুরের ১০ বছর পর আ.লীগ নেতাদের নামে মামলা
 

হবিগঞ্জ: জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর চৌধুরীসহ ২৬ নেতার নামে নবীগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে।
 
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে জামায়াতে ইসলামী নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন শাখার সভাপতি শাহ মো. আলাউদ্দিন মামলাটি করেন।


 
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাশুক আলী বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।  

তিনি জানান, মামলায় ২০১৪ সালে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে আমৃত্যু কারাণ্ডের আদেশ দেওয়ার দিন নবীগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালানো হয়। এর ১০ বছর পর এ ঘটনায় শবিবার রাতে মামলা হয়েছে। মামলায় আলমগীর চৌধুরী, নবীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান নির্মলেন্দু দাশ রানা প্রধান আসামি।
 
অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- নবীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি মোজাহিদ আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ওহি দেওয়ান চৌধুরী, হবিগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক গৌতম রায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী ওবায়দুল কাদের হেলাল ও মুজিবুর রহমান কাজল, সাবেক সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা প্রমথ চক্রবর্তী বেনু, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাবলু আহমেদ, উপজেলা শ্রমিক লীগ সভাপতি আব্দাল করিম ও উপজেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদ সভাপতি দুলাল চৌধুরী।

আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের মধ্যে আরও আসামি করা হয়েছে উমরপুর গ্রামের জগৎ সিং, আদিত্যপুর গ্রামের অসীম শীল, হলিমপুরের মানিক দাশ, গুমগুমিয়ায় নিরাপদ দাশ, কুর্মি গ্রামের জয়নাল মিয়া, তিমিরপুর গ্রামের বেলাল তালুকদার, কালাভরপুর গ্রামের খোকন মিয়া চৌধুরী, গুমগুমিয়া গ্রামের দিপ্রজিত দাশ, গয়াহরি গ্রমের অনন্ত দাশ, কুর্শি গ্রামের তুহিন চৌধুরী, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পারভেজ চৌধুরী ফয়েজ, সন্তোষ দাশ ও বড় শাখোয়া গ্রামের বিজয় দাশকে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৫০/৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।  
 
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদে নবীগঞ্জ শহরে জামায়াতে ইসলামী ও তৌহিদী জনতা শান্তিপূর্ণ মিছিল বের করে। এসময় আলমগীর চৌধুরীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও এর অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা পিস্তল, শর্টগান ও দেশীয় ধারালো অস্ত্রশস্ত্রসহ মিছিলে হামলা চালান। হামলায় জামায়াত নেতা শাহ মো. আলাউদ্দিন, সুবিন চৌধুরী, সাকিন আহমদ, আব্দুল মুকিত পাঠান, সাইদুল হক চৌধুরী, নাজমুল ইসলাম, ডা. আবুল কালাম আজাদসহ অনেকেই গুরুতর আহত হন। এসময় সাইদুল হক চৌধুরীর রেনেসা ফ্যাশন, রেনেসা অফসেট, স্বাদ অ্যান্ড কোং নামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। ভেঙে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় তার দুটি মোটরসাইকেলে।

ওসি আরও জানান, উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সুমন মিয়াকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৪
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।