রাজশাহী: বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ এখন এতিমের বাচ্চা হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য শামসুজ্জামান দুদু।
তিনি বলেন, একটা সময় ছিল যখন আওয়ামী লীগ বলতো, বিএনপির নেতা কে? আর আজ যদি আমরা বলি আওয়ামী লীগের নেতা কে? আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকে তো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না! তারা কোথায়? আওয়ামী লীগ এখন এতিমের বাচ্চা হয়ে গেছে।
বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজশাহী মহানগরীতে আয়োজিত বিভাগীয় শোভাযাত্রার আগে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রাজশাহী মহানগরীর আলুপট্টি মোড়ে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈসার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশ সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হেলালুজ্জামান লালু, হাবিবুর রহমান হাবিব, ইঞ্জিনিয়ার খালিদ চৌধুরী পাহিন, বিএনপির বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক সাবেক সিটি মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক শফিকুল হক মিলন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চন্দন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ।
সমাবেশ সঞ্চালনা করেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মামুন অর রশীদ ও জেলা বিএনপির সদস্য গোলাম মোস্তফা মামুন।
সমাবেশে রাজশাহী বিভাগের আট জেলার স্থানীয় নেতারাও বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে বিএনপির সিনিয়র নেতা শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘আমাদের নেতা (তারেক রহমান) বলেছেন, গণতন্ত্র উদ্ধারের সংগ্রাম এখনও শেষ হয়নি। যেদিন ভোট হবে, ভোটের মধ্য দিয়ে মানুষ পছন্দের প্রার্থীকে তার ভোট দিতে পারবে, সেদিন আমরা বুঝবো দেশে গণতন্ত্রের সুবাতাস বইছে। এজন্য বিএনপির নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। '
দুদু বলেন, ‘শেখ হাসিনা শুধু পালিয়েই যায়নি। এ দেশ থেকে তার নাম-নিশানা পর্যন্ত মুছে গেছে। তার দল করার মতো লোকজনকেও এখন আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এত চুরি তারা করবে তা দেশের মানুষও বুঝতে পারেনি। বাংলাদেশে এত চুরি শেখ মুজিবের দল দেখাবে সেটা বাংলাদেশের মানুষ বুঝতে পারেনি। সব ব্যাংকে তারা লুটপাট করেছে। এই যে রাজশাহী জুটমিল, তারা বন্ধ করে দিয়েছে। সারা দেশে শত শত মানুষকে হত্যা করেছে। ’
এ সময় দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘এখনো আমরা সরকারে যাইনি- মাথায় রাখতে হবে, সংগঠিত হতে হবে। আগামীর জন্য নিজেদের তৈরি হতে হবে। গণঅভ্যুথানে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতনের মধ্য দিয়ে জনগণের বিজয় অর্জিত হয়েছে। জনগণকে গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আগামী নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথে থেকে চলমান আন্দোলন ধরে রাখতে হবে। '
বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে জানিয়ে শামসুজ্জামান দুদু সমাবেশে বলেন, যারা ষড়যন্ত্র করছে তারা ভারতের দালাল, এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে নেতাকর্মীদের অতন্দ্র প্রহরীর মতো সজাগ থাকতে হবে। আমাদের আন্দোলন থেমে যায়নি।
তিনি দেশে যতক্ষণ পর্যন্ত জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত অতীতের ধারাবাহিকতায় আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার জন্য নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান।
সমাবেশ শেষে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি আলুপট্টি মোড় থেকে শুরু হয়। এটি মহাগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবারও আলুপট্টি মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪
এসএস/এএটি