ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

হাসিনা দেশ ছেড়েছে এটা আল্লাহর রহমত: জিএম কাদের 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৪
হাসিনা দেশ ছেড়েছে এটা আল্লাহর রহমত: জিএম কাদের  বক্তব্য রাখছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের

ঢাকা: ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের প্রসঙ্গ টেনে জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনা দেশ ছেড়েছেন এটা আল্লাহর রহমত। এদেশের ছাত্র-জনতা গুলির সামনে বুক পেতে দিয়ে স্বৈরাচার হাসিনার পতন নিশ্চিত করেছে।

বাংলাদেশের ইতিহাসে এত বড় আন্দোলনের নজির নেই। আন্দোলনে এত নির্যাতন আর হত্যাযজ্ঞের ইতিহাসও নেই আমাদের দেশে। আমাদের বীর সন্তানরা জীবন দিয়ে স্বৈরাচারের পতন নিশ্চিত করেছে, যা আমরা পারিনি। শেখ হাসিনার পতন না হলে একদলীয় সরকার ব্যবস্থা কায়েম হতো। দেশে মাত্র একটি দলই থাকতো।  

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় মটর শ্রমিক পার্টির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।  

জিএম কাদের বলেন, চাঁদাবাজ চক্রের হাত থেক পরিবহন সেক্টর বাঁচাতে হবে। পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের বাঁচাতে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে। পরিবহন মালিকদের দাবি, সড়কের চাঁদার জন্য গণপরিবহনের ভাড়া বেড়ে যায়। গণপরিবহনের ড্রাইভার ও হেলপার নিয়োগ দেয় শ্রমিক ইউনিয়ন, মালিকদের কর্তৃত্ব থাকে না। কেউ প্রতিবাদ করলে তার জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের চাঁদাবাজ চক্রের হাত থেকে মুক্তি দিতে হবে।  

তিনি আরও বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচন জাতীয় পার্টি বর্জন করেছিল। আমাদের নেতা পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে চিকিৎসার নামে সিএমএইচে আটক করা হয়। তার নির্দেশে আমি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেই। আমিসহ জাতীয় পার্টির ২৭০ জন নির্বাচন বর্জন করি। ২০১৪ সালের সংসদে আমি যাইনি। মঞ্জুর হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন চাপে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে সংসদে যেতে বাধ্য করে আওয়ামী লীগ সরকার। কিন্তু ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি না গেলেও উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভাসহ বেশ কিছু নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল বিএনপি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপিসহ প্রায় সব দলই অংশ নিয়েছিল। আমরাও সেই নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম। ২০২৪ সালের নির্বাচনে আমরা যেতে চাইনি। আমাদের নির্বাচনে যেতে বাধ্য করা হয়েছে।

জাতীয় পার্টিতে আওয়ামী লীগই বিভাজন সৃষ্টি করেছিল উল্লেখ করে চেয়ারম্যান বলেন, একটি গোষ্ঠীকে আমাদের দল ও প্রতীকের নামে কাউন্সিল করতে অন্যায়ভাবে অনুমতি দিয়েছিল তারা। হাস্যকর একটি মামলায় আমাকে রাজনীতি থেকে চার মাসের বেশি সময় দূরে রাখা হয়েছিল। আমরা নির্বাচন বর্জন করতে সংবাদ সম্মেলন করতে চেয়েছিলোম, সব কিছুই রেডি ছিল। কিন্তু বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য ও বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা আমাদের অফিস কর্ডন করে রাখে। আমাদের নির্বাচন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিতে দেয়নি, এটা সবাই জানে।  

জাতীয় মটর শ্রমিক পার্টির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব মীর আব্দুস সবুর আসুদ, অ্যাড. মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, প্রেসিডিয়াম সদস্য আতিকুর রহমান আতিক, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব মনিরুল ইসলাম মিলন, প্রেসিডিয়াম সদস্য জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার মনির আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার মইনুর রাব্বী চৌধুরী রুম্মন, ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ সেলিম, আহাদ ইউ চৌধুরী শাহীন, যুগ্ম মহাসচিব মো. সামছুল হক, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য এমএ রাজ্জাক খান, ইঞ্জিনিয়ার এলাহান উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু তৈয়ব, মাহমুদ আলম, সমরেশ মন্ডল মানিক, হাফেজ ক্বারী ইসারুহুল্লাহ আসিফ, কেন্দ্রীয় নেতা মো. জাকির হোসেন, কাজী মামুন, একেএম নুরুজ্জামান জামান।  

জাতীয় মটর শ্রমিক পার্টির আহ্বায়ক মেহেদী হাসান শিপনের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব আব্দুর রহিমের সঞ্চালনায় মটর শ্রমিক পার্টির নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মো. গোলাম মোস্তফা গোলাম, মোস্তফা ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, আব্দুল বারেক শেখ, মো. ইউসুফ, মো. শেখ শরীফ, মো. সুমন হাওলাদার, মো. লিটন সরকার, মো. লুৎফর হোসেন, সুজন মিয়া, আবুল কালাম আজাদ, মো. ওসমান গণি, মো. চান মিয়া, মো. খলিলুর রহমান, ডা. মোজাহিদ, মিজানুর রহমান ও সাখাওয়াত হোসেন দুলাল, ইঞ্জিনিয়ার বিএম এরশাদ, মো. রফিক খান, এনায়েত হোসেন খোকন, হাফেজ মাওলানা ওয়াইস করোনী, মো. মাহবুব হোসেন ও আলী আহমেদ সুজন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৪
এসএমএকে/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।