কুমিল্লা: ‘চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় বাসের আট যাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার মূল হোতা আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল (লোটাস কামাল)। তার গুলশানের বাসায় এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে পরিকল্পনা হয়।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লা আইনজীবী সমিতির লাইব্রেরিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনে মনিরুল বলেন, আ হ ম মুস্তফা কামালের বাসায় এই পরিকল্পনার সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক। তারা বিষয়টি নিয়ে গণভবনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে পরামর্শ করেন। তাদের পরিকল্পনায় আওয়ামী লীগের নেতা, স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, পুলিশ ও র্যাব গাড়িতে গান পাউডার দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
তিনি বলেন, একটি অনলাইন টেলিভিশনে প্রত্যক্ষদর্শী এক ব্যক্তি এসব অভিযোগ করেছেন। ওই ঘটনায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, আমিসহ বিএনপি-জামায়াতের নেতাদের আসামি করা হয়। তখন প্রশাসন বাসে পেট্রোল বোমার কথা বললেও সেটি মূলত গান পাউডার দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।
তার দাবি, এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের বাঘা বাঘা মন্ত্রী-এমপির সঙ্গে আরও জড়িত ছিলেন স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহজালাল মজুমদার, গোলাম ফারুক হেলাল ও মোশাররেফ হোসেন। আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে রুপম মজুমদার, চঞ্চল, সজল, আলম ও রিপন।
মনিরুল হক চৌধুরী এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
দেশত্যাগ ও মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় অভিযুক্ত কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আনিছুর রহমান মিঠু এ বিষয়ে বলেন, অন্যসব বিষয়ে জানি না। তবে আশিকুন্নবী বাপ্পি হাই স্কুলের গণ্ডি পার হয়নি। কখনো ছাত্রলীগ-যুবলীগ করেনি। জাহাঙ্গীর কবির নানকের পিএস বিপ্লব ও বাপ্পি মিলে কুমিল্লা সীমান্তে মাদক ব্যবসা করত। নানক ভাইয়ের লোক হওয়ায় তাকে কেউ ঘাঁটাতো না।
২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি চৌদ্দগ্রামে বাসে আগুন দেওয়া হয়েছিল। ওই ঘটনায় আট যাত্রী পুড়ে মারা যান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৪
এমজে