পটুয়াখালী: জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা উপজেলা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান খানের ওপর হামলা ও পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর ঘটনায় পটুয়াখালী সদর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে নিহত শাহজাহান খানের বড় ছেলে পটুয়াখালী জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শিপলু খান বাদী হয়ে পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীরসহ ৩৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি করেন।
এ মামলায় আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। পটুয়াখালী সদর থানা মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করেছে বলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ৫ নভেম্বর বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় মহাসমাবেশে মোটরসাইকেল যোগে যাওয়ার পথে শাহজাহান খান ও তার সঙ্গে থাকা নেতকর্মীদের ওপর সদর উপজেলার পটুয়াখালী-বরিশাল মহাসড়কের শিয়ালী এলাকায় আওয়ামী লীগ,যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে মারধর এবং মোটরাইকেল ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত শাহজাহান খান অসুস্থ হয়ে পড়লে ২৮ নভেম্বর সকালে ঢাকা ল্যাব এইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মার যান
মামলার বাদী মো. শিপুল খান বলেন, আমার বাবাকে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ পরিকল্পিতভাবে নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করেছে। আমরা বাবা একজন সিনিয়র রাজনৈতিক নেতা ছিলেন। এ শহরে সিনিয়র সিটিজেনদের কোনো সময় গায়ে হাত দেওয়া তো দূরের কথা কাউকে অসন্মান করার ঘটনাও ঘটেনি। কিন্তু জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি কাজী আলমগীর আমার বাবার ওপর হামলা করিয়ে নির্যাতন চালিয়ে এক অপরাজনীতি শুরু করে। আমার বাবা রাজনীতির পাশপাশি তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী ছিলেন, এ শহরে অনেক সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন। তিনি জনগণের সেবায় আমৃত্যু কাজ করে গেছেন। তাকে মারধর করে আওয়মী লীগ নেতারা ঠিকভাবে চিকিৎসা পর্যন্ত করাতে দেয়নি। আমি আসামিদের নাম উল্লেখসহ মামলা করেছি। আশা করছি আমি আমার বাবার হত্যার সঠিক বিচার পাবো।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জসিম বলেন, শিপুল খানের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে একটি হত্যা মামলা হয়েছে। পুলিশ এ বিষয়ে তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৪
জেএইচ