ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

দেশে নির্বাচিত সরকারের কোনো বিকল্প নেই: আমিনুল হক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৪
দেশে নির্বাচিত সরকারের কোনো বিকল্প নেই: আমিনুল হক

ঢাকা: গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ আবু সাঈদসহ অসংখ্য ছাত্র-জনতার রক্তদানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নতুনভাবে স্বাধীন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক অধিনায়ক আমিনুল হক।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রংপুরের পীরগঞ্জের জাফরপাড়ার বাবনপুর গ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শহীদ আবু সাঈদের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বাচ্চাসহ দুধের গাভি, সেলাই মেশিনও আর্থিক সহায়তা দেওয়া শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আমিনুল হক বলেন, ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনে শহীদ হওয়া পরিবারদের অবদান এবং আবু সাঈদের মতো শহীদদের আত্মত্যাগ যেন কখনও বৃথা না যায়। তাদের রক্তের বিনিময়ে এদেশ নতুনভাবে স্বাধীন হয়েছে। জাতির মুক্তির সংগ্রামে যারাই শহীদ হয়েছেন, নতুন বাংলাদেশে জাতি তাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ রাখবে।

তিনি আরও বলেন, আবু সাঈদের পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার মতো ভাষা আমার নেই। আবু সাঈদসহ এ গণ-আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান, যতদিন এ দেশ থাকবে, এ দেশের স্বাধীনতা থাকবে, ততদিন আবু সাঈদদের অবদান জাতির কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

দেশে নির্বাচিত সরকারের কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে আমিনুল হক বলেন, গত ১৭ বছর ধরে এত মানুষের আত্মত্যাগ তখনই সফল হবে, যখন এ দেশের মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটাধিকার ও নিজের অধিকার ফিরে পাবে এবং দেশে একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ ভোট দিয়ে তারা তাদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারবেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে সারা দেশে হতাহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর ধারাবাহিক এ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।

শহীদ আবু সাঈদের বাড়িতে তার বাবা, মা, ভাইসহ পরিবারের সদস্যরাসহ এ সময় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, আতাউর রহমান চেয়ারম্যান, মোস্তফা জামান, আখতার হোসেন, মহানগর সাবেক সদস্য আলাউদ্দিন সরকার টিপু, তহিরুল ইসলাম তুহিন, এবিএমএ রাজ্জাক, মো. ইউসুফ, মাহাবুব আলম মন্টু, দক্ষিণখান থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেওয়ান মো. নাজিম উদ্দীন, যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন জমিদার, উত্তরা পূর্ব থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম খান, জাসাস ঢাকা মহানগর উত্তর যুগ্ম আহ্বায়ক রিপন হাওলাদার, রুপনগর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাজেদুল আলম টুটুলসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন যখন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল তখন ১৬ জুলাই দুপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড়ে গুলিবিদ্ধ হন আবু সাঈদ। ২৫ বছর বয়সী আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কও ছিলেন তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৪
টিএ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।