ঢাকা, সোমবার, ১৯ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হলে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় বিলম্ব ঘটতে পারে: আমান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২৪
অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হলে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় বিলম্ব ঘটতে পারে: আমান ছবি: ডি এইচ বাদল

ঢাকা: অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হলে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে এবং জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় বিলম্ব ঘটতে পারে এমনটি জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রী আমান উল্লাহ আমান বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা সহযোগিতা করতে চাই। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন আমরা এ সরকারকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করি এবং করব, একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য।

আর এ নির্বাচনটি যত দ্রুত সম্ভব হতে হবে। তাদের (অন্তর্বর্তী সরকারের) কারণে যদি আজকে মুখ থুবড়ে পরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে এবং জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় বিলম্ব ঘটতে পারে।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত ‘৯০’ এর গণঅভ্যুত্থানের রূপকার সাইফুদ্দিন আহমেদ মনির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

আমান বলেন, আমরা আশা করব এ সরকার যে কমিশন করেছেন তার রিপোর্ট পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরবর্তীতে করণীয়, একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। এ নির্বাচনে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ যাদেরকে রায় দেবে তাদের কাছে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হবে। দেশ শান্তিপূর্ণভাবে চলবে। পাশাপাশি দেশের যেসব সমস্যার জট বেঁধে আছে তা সমাধান করবে। একই সঙ্গে ছাত্র-জনতা এবং দেশের মানুষের যে দাবি তা পূরণ হতে হবে। সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

সাগর রুনির বিচার কিন্তু এখনো পাইনি এমনটি জানিয়ে আমানউল্লাহ আমান বলেন, অবিলম্বে সাগর রুনির হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে। এতদিন সাগর রুনি'র হত্যাকাণ্ডের বিচার বিলম্ব হওয়ার কারণ একমাত্র একটাই, আওয়ামী লীগ সরকার এখানে জড়িত ছিল। তখন প্রতিবেদন জমা হয়নি বিলম্ব হয়েছে। কিন্তু আজকে এ বিচার বিলম্ব হওয়ার কথা নয়।

তিনি বলেন, দীর্ঘ অনেক বছর আমরা আন্দোলন করেছি সংগ্রাম করেছি। যে গণতন্ত্র একবার এনেছেন জিয়াউর রহমান। আরেকবার এনেছেন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া। আর দীর্ঘ ১৬ বছর দেশ নায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে আন্দোলন করে সর্বশেষ ছাত্রজনতার গণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা পেয়েছি গণতন্ত্র। গণতন্ত্র যেভাবে অর্জিত হয়েছে তা আমাদের ধরে রাখতে হবে। আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমাদের সবাইকে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

সাইফুদ্দিন মনিকে স্মরণ করে আমান উল্লাহ আমান বলেন, সাইফুদ্দিন মনির স্বপ্ন তখনই পূরণ হবে যখন জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিতের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে তখনই তার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে। সবার ঐক্যবদ্ধ চেষ্টায় আমরা দ্রুত একটি গণতন্ত্র ফিরে পাবো, দ্রুত ভোটাধিকার ফিরে পাব এবং দ্রুত একটি জনগণের সরকার পাব। যেখানে এই দেশের সরকার পরিচালিত হবে জনগণের মাধ্যমে।


সাবেক এমপি ও সাবেক ডাকসুর এজিএস নাজিমুদ্দিন আলম বলেন, আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট যেভাবে দেশে দুঃশাসন চালিয়েছে সেটা আর বলতে চাই না। তারা দেশটাকে জেল বানিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাকে চেতনাকে রাস্তায় মিশিয়ে ফেলছে। শেখ হাসিনা মনে করেন দেশটা তার বাবার সম্পত্তি। যেটা মনে করতেন তার বাবা শেখ মজিবুর রহমান। শেখ হাসিনা শুধু এবার পালাইনি। এর আগে ৭৫ বোরকা পড়ে তিনি পালিয়েছেন। কিন্তু আমার নেত্রী খালেদা জিয়া পালাইনি। ওয়ান ইলেভেনের সময় আমার নেত্রীকে দু'ছেলেকে নিয়ে সৌদি আরবে যাওয়ার কথা বলেছেন।  কিন্তু খালেদা জিয়া পালিয়ে যায়নি। গত ১৬ বছর বিএনপির নেতাকর্মীরা জেল জুলুম হত্যার শিকার হয়েছেন। সেখানে জামায়াতও অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে। সেখানে হেফাজত ইসলামীও অবদান রেখেছে।  


আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোনো আপস হবে না জানিয়ে তিনি আরও বলেন, যেকোনো আন্দোলনে ৯০'র গণ অভ্যুত্থান একটা অনুপ্রেরণা রয়েছে। জুলাই আগস্টে দেড় হাজার ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেছে। তাদের সঙ্গে কোন আপস হবে না। আমরা প্রয়োজন হলে আমরা রাস্তায় নামবো।

তারেক রহমাকে দ্রুত দেশে দেখতে চাই জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা এ অন্তবর্তী সরকাকে পূর্ণ সহযোগিতা করবো। আমরা অবিলম্বে দেশ নায়ক তারেক রহমাকে দেশে দেখতে চাই। খালেদা জিয়ার দেশের বাইরে থাকবে এটা আমরা দেখতে চাই না।

বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামে সভাপতি সাইদুর রহমান বলেন, অবিলম্বে বিএনপির সব নেতাকর্মীদের নামে করা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। সব রাজবন্দিদের মুক্ত করে দিতে হবে।

আলোচনা সভার শুরুতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সাইফুদ্দিন মনির জন্য দোয়া করা হয়।  


তারেক রহমাকে দ্রুত দেশে দেখতে চাই জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা এই অন্তবর্তীকালীন সরকাকে পূর্ণ সহযোগিতা করবো। আমরা অবিলম্বে দেশ নায়ক তারেক রহমাকে দেশে দেখতে চাই। খালেদা জিয়ার দেশের বাইরে থাকবে এটা আমরা দেখতে চাইনা।

বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামে সভাপতি সাইদুর রহমান বলেন, অবিলম্বে বিএনপির সব নেতাকর্মীদের নামে করা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। সব রাজবন্দিদের মুক্ত করে দিতে হবে।

আলোচনা সভার শুরুতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সাইফুদ্দিন মনির জন্য দোয়া করা হয়।

আলোচনা সভায় বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি মোহাম্মদ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদ সমমনা জোটের সমন্বয়ক ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২৪
ইএসএস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।