ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে সংস্কার করতে হবে: আমীর খসরু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২৪
জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে সংস্কার করতে হবে: আমীর খসরু আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী

ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সিলেক্টিভ (বাছাইকৃত) সংস্কার নয়, জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে রাষ্ট্র সংস্কার করতে হবে।  

সোমবার (২৮ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি আয়োজিত ‘অন্তর্বর্তী সরকারের ৮০ দিন গতিমুখ ও চ্যালেঞ্জসমূহ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

আমীর খসরু বলেন, বিগত ১৬ বছরের বহু লোক জীবন দিয়েছেন, চাকরি হারিয়েছেন, পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন, অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সরকারি ভাবে তাদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে।  

ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে নতুন বাংলাদেশের বিনির্মাণ করতে হবে উল্লেখ করে আমির খসরু বলেন, গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে বিতাড়িত করেছি। বাংলাদেশের নাগরিক মনোজগতে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। সবার মধ্যে আশা জেগেছে। জাতীয় ঐক্যর মাধ্যমে সবাই সরকার সমর্থন দিয়েছে।  

আমীর খসরু আরও বলেন, প্রায় ৬ বছর আগে ‘ভিশন ২০৩০’-এ খালেদা জিয়া সংস্কারের কথা বলেছেন। বিএনপি রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য ৩১ দফা দিয়েছে। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। আজকের প্রেক্ষাপটে কী মৌলিক সংস্কার করবো, কীভাবে করবো সেই প্রশ্ন আসে। যেসব সংস্কার জাতীয় ঐক্য ভিত্তি হবে সেইগুলো সংস্কার করতে পারে।  

যে সংস্কার জনগণ ঐকমত্য হবে না, সব রাজনৈতিক দল একমত হবে না সেগুলো পরবর্তী সরকারের জন্য রেখে দিতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।  

বিএনপির এই জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, গত ১৬ বছর জনগণ ভোট দিতে পারেনি বলেই শেখ হাসিনার মতো দানবীয় শক্তির উত্থান হয়েছে। জনগণের মালিকানা প্রধান বাহক হচ্ছে নির্বাচন, এর মাধ্যমে তারা পছন্দের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন।  

সভায় নাগরিক ঐক্যর সভাপতি মাহামুদুর রহমান মান্না বলেছেন, সংস্কার কাজ চলমান প্রক্রিয়া। কোনো সরকার যদি বলে সংস্কার কাজ শেষ করে নির্বাচন দেবে, তাহলে সেই সরকার সংস্কার কাজ বোঝে না। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কাজ হলো-সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা সংস্কার করা প্রয়োজন, সেগুলো করে নির্বাচন দেওয়া। এজন্য নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কার কাজে জোর দেওয়া উচিত। এখন পর্যন্ত প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও সংস্কার করতে পারেনি এই সরকার।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্য মান্না বলেন, ৮ আগস্ট সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে রাষ্ট্রপতি কেন রাখলেন? ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড বুঝলে তাহলে বিপ্লবী সরকার হয়ে বলতেন তার অধীনে শপথ নেব না। সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে কারা সরাচ্ছে না বিএনপি নাকি সরকার? 

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় সদস্য আকবর খানের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন্দ ও জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২৪
ইএসএস/এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।