লক্ষ্মীপুর: শেখ হাসিনা গণশত্রুতে পরিণত হয়েই দেশ ছেড়ে পালিয়েছ যেতে বাধ্য হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।
তিনি বলেন, যিনি (শেখ হাসিনা) পালিয়ে গিয়েছেন।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ মাদরাসা জেনারেল টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমজিটিএ) লক্ষ্মীপুর জেলার তৃতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের ব্যানারে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এ্যানি বলেন, এখন দেশে দ্বিতীয় বিপ্লব, দ্বিতীয় স্বাধীনতা। ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মধ্যদিয়ে আমরা নতুন আশা-আকঙ্ক্ষা, নতুন ভবিষ্যৎ ও নতুন বাংলাদেশ দেখতে পাচ্ছি। নতুন বাংলাদেশের কারিগর হলেন এ শিক্ষক ও ছাত্ররা। আমরা সবাই নতুন বাংলাদেশ গঠনে উঠে পড়ে লেগেছি। এটি আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। আন্দোলনে সংগ্রামে শহীদদের আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। ১৫ বছর চেষ্টা করে আমরা আন্দোলন থেকে বের হতে পারিনি। ছাত্ররা যখন আমাদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে একত্র হয়েছেন, এ মেধাবীরা। তাদের দিয়েই আমরা এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি।
এ্যানি আরও বলেন, সংস্কার শেষে নির্বাচন হবে। জনপ্রতিনিধিদের ছাড়া ডিসি সাহেবরা বিপদে পড়ে যাবেন। হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্রের ভীতকে শক্তিশালী করে জনগণের সরকারি প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করা ও সংগ্রাম। যতদিন পর্যন্ত আমরা তা নিশ্চিত করতে পারবো না, ততদিন আমরা দুর্বল জাতি হিসেবে থাকবো। অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা সর্বত্মক সহযোগিতা করছি। কোনোভাবেই এ সরকারকে ফেল করতে দেওয়া যাবে না। এ সরকার ফেল করলে আমার আপনার বিপদ আছে। এ বিপদ থেকে বের হতে আমাদের এক ও ঐকবদ্ধ থাকতে হবে।
সম্মেলনের উদ্বোধক ছিলেন লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) রাজিব কুমার সরকার। আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জেপি দেওয়ান ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সম্রাট খীসা।
বিএমজিটিএ লক্ষ্মীপুর জেলা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে মুখ্য আলোচক ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হারুন অর রশিদ ও বিশেষ আলোচক ছিলেন মহাসচিব ফিরোজ আলম। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, লক্ষ্মীপুর আলিয়া মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ একেএম আব্দুল্লাহ ও ভবানীগঞ্জ কারামতিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ইব্রাহিম শামীম।
সম্মেলেন অতিথিদের কাছে বিএমজিটিএ নেতারা তাদের ৯ দফা দাবি তুলে ধরেন।
দাবিগুলো হলো- মাদরাসাসহ সব শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করন করা। শূন্যপদে ইনডেক্সধারী সব শিক্ষকের বদলি ব্যবস্থা চালু করা। সহকারী শিক্ষকদের দ্রুত অষ্টম গ্রেড বাস্তবায়ন করা হয়। সরকারি নিয়মে বাড়ি ভাড়া, উৎসব ভাতা ও চিকিৎসা ভাতা প্রদান করা। ১৬ বছরে সব প্রভাষকদের সহকারী অধ্যাপকে পদোন্নতি এবং সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক পদে জেনারেল শিক্ষকদের সুযোগ দেয়। ইএফটিরি মাধ্যমে বেতন প্রদান করা। মাদরাসার সর্বস্তরের শিক্ষকদের জন্য স্তর এবং পদমর্যাদা অনুযায়ী সরকারি নিয়মে গৃহঋণ পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। চাকরিকাল শেষ হওয়ার ৬ মাসের মধ্যেই অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টের অর্থ প্রদান নিশ্চিত করতে হবে। মাদরাসার প্রশাসনিক অন্তত একটি পদে জেনারেল শিক্ষকদের সুযোগ দেওয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২৪
জেএইচ