খুলনা: খুলনার ৩০ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সদস্য সচিব আমির হোসেন বোয়িং মোল্লার ওপর বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে গুলি করা হলে তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পরে শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাতে তাকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে কুপিয়ে জখম করা হয়।
আমির হোসেন বোয়িং মোল্লা খুলনা সিটি করপোরেশন ৩০ নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর আমান উল্লার ছোট ভাই। তাছাড়া তিনি খুলনা মৎস্য বণিক সমিতির সাবেক সভাপতি ছিলেন।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে খুলনা মহানগরীর টুটপাড়া তালতলা হাসপাতালের সামনে অস্ত্রধারীরা ধারালো অস্ত্রদিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে পালিয়ে যায়। তার মাথায় ও পিঠের আঘাত গুরুতর।
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনীর উল গিয়াস বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রাতে সংবাদ শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বেলা ১১টার দিকে পারিবারিক সমস্যা সমাধানে টুটপাড়া তালতলা হাসপাতালের সামনে সালিশে বসেন বোয়িং মোল্লা। সালিশির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ সময় কথা কাটাকাটির জেরে প্রতিপক্ষ তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। কিন্তু লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় তিনি বেঁচে যান। শুক্রবার রাতে তালতলা হাসপাতালের সামনে কেরাম টুর্নামেন্ট চলছিল।
স্থানীয় একটি মসজিদে এশার নামাজ আদায় করে বোয়িং মোল্লা সেখানে উপস্থিত হন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে অস্ত্রধারীরা ধারালো অস্ত্রদিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে পালিয়ে যায়। কুপিয়ে জখম করার পর মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য অস্ত্রধারীরা সেখানে ৪ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। পরে তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার অবস্থা খারাপ হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন। ঢাকায় না নিয়ে পরিবারের সদস্যরা তাকে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে তিনি খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২৪
এমআরএম/জেএইচ