ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৪ পৌষ ১৪৩১, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

ভারতের সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ: খন্দকার মুক্তাদির

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০২৪
ভারতের সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ: খন্দকার মুক্তাদির

সিলেট: ভারতের সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ বলে মন্তব্য করে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেছেন, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করার যড়যন্ত্র চলছে। দেশের বিরুদ্ধে এ যড়যন্ত্র রুখে দিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

 

তিনি আরও বলেন, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর দিন থেকে যড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। আমাদের আর শক্তিহীন, দুর্বল, নতজানু ভাবার কোনো রকম অবকাশ নেই। যেকোনো ধরনের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ এবং আমাদের ঐক্য অটুট। আমাদের মধ্যে মত-পথ-আদর্শের ভিন্নতা থাকবে, আমাদের রাজনৈতিক ভিন্নতা থাকবে, অবস্থার ভিন্নতা থাকবে, কিন্তু দেশ ও সার্বভৌমত্ব এবং অস্তিত্বের প্রশ্নে আমরা সবাই এক।  

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরের জিন্দাবাজারের একটি হোটেলে সিলেট মহানগর বিএনপি আয়োজিত নগরের সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতা, পূজা উদযাপন পরিষদ, নগরের সব থানার অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন পূজা কমিটির নেতাসহ বিভিন্ন মন্দিরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির এসব কথা বলেন।  

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সব মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। তারা ভারতের সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত। শেখ হাসিনা ভারতে বসে বাংলাদেশে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা লাগানোর ষড়যন্ত্র করছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দেশ থেকে পালিয়েছে শেখ হাসিনা। পৃথিবীর কোনো দেশ শেখ হাসিনাকে জায়গা দেয়নি। ভারত তাকে জায়গা দিয়েছে। সেখানে বসে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে। শেখ হাসিনা সরকার ১৭ বছর খুন ও গুম করে বাংলাদেশকে ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। ভারতের পুতুল সরকার হাসিনা পতনের পরে তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৭১’র মুক্তিযুদ্ধ, ৯০ এ স্বৈরাচারের বিদায় এবং সদ্য জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতন করেছে ঐক্যবদ্ধ শক্তি। আমরা ভারতকে ভয় পাই না। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভারতের অযৌক্তিক আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এ সময় ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা পোড়ানো ও হাইকমিশনে হামলা এবং ভাঙচুরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির।

মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র রেজাউল হাসান কয়েস লোদী বলেন, কারো প্রভুত্ব বাংলাদেশের মানুষ মেনে নেবে না। দেশের স্বার্থে আজ আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ। ভারত এ উপমহাদেশের একটি বৃহৎ প্রতিবেশী দেশ। আমরা চাই জিয়াউর রহমান যে সার্ক গঠন করেছেন, সেই সার্কের আলোকে এ উপমহাদেশের রাজনীতি চলবে। আমাদের সঙ্গে কারো বৈরিতা নেই, আমাদের সঙ্গে সবার বন্ধুত্ব থাকবে।  

তিনি আরও বলেন, আজ যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, ১৯৭১ সালেও এমনই সংকট সৃষ্টি হয়েছিল। শেখ পরিবারের লোকজন সংকট মুহূর্তে দেশ ও জাতির পাশে থাকে না।

মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নজিবুর রহমান নজিবের পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- সিলেট রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী চন্দ্রনাথানন্দজী মহারাজ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মৃত্যুঞ্জয় ধর ভোলা, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মলয় পুরকায়স্থ, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সিলেট জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট বিজয় কৃষ্ণ বিশ্বাস, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সিলেট জেলার সভাপতি গোপিকা শ্যাম পুরকায়স্থ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রঞ্জন ঘোষ, অধ্যাপক রজত কান্তি ভট্টাচার্য, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সিলেট মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপদি প্রদীপ কুমার দেব, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সিলেট মহানগর শাখার সহ-সভাপতি ভিকন নিঝুম সাংমা।

এছাড়া সভায় পূজা উদযাপন পরিষদ জালালাবাদ থানার সাধারণ সম্পাদক স্বপন পাল, পূজা উপদযাপন পরিষদ দক্ষিণ সুরমা থানা শাখার সভাপতি দীপংকর দাস, এয়ারপোর্ট থানার সাধারণ সম্পাদক ভৈরব চন্দ্র নাথ, জিডি রুমু, রাজীভ দে চৌধুরী, বীরেশ দেব নাথ, নান্টুর ঞ্জন সিংহ, ধীরেন্দ্র ধর, অরবিন্দ্র দাশ গুপ্ত, সুব্রত দেব, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ শাহপরাণ থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক আশীষ রায়, বিশ্বজিৎ দাস, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের মোগলবাজার থানা শাখার সভাপতি মন মোহন দেবনাথ, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের মোগলবাজার থানা শাখার সভাপতি রাজ কুমার পাল রাজু, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কোতোয়ালি থানা শাখার যুগ্ম সম্পাদক শ্যামল কপালী, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের জালালবাদ থানা শাখার সভাপতি সঞ্জয় পাল, সাধারণ সম্পাদক অপরেশ দাস অপু উপস্থিত ছিলেন।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ও মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি ডা. নাজমুল ইসলাম, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি জিয়াউল গণি আরেফিন জিল্লুর, মহানগর বিএনপির সম্মানিত সদস্য বদরুদ্দোজা বদর, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ সাফেক মাহবুব, যুগ্ম সম্পাদক মুর্শেদ আহমদ মুকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন মজুমদার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব শাকিল মুর্শেদ, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সুদীপ জ্যোতি এষ, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক দিলোয়ার হোসেন দিনার, মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী আহসান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ০২১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০২৪
এনইউ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।