ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

ভারতীয় হাইকমিশনে স্মারকলিপি দিলেন বিএনপির ৩ সংগঠনের প্রতিনিধিরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০২৪
ভারতীয় হাইকমিশনে স্মারকলিপি দিলেন বিএনপির ৩ সংগঠনের প্রতিনিধিরা ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ ও অবৈধ আগ্রাসনের প্রতিবাদে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে স্মারকলিপি দিয়েছে বিএনপির তিন সংগঠনের প্রতিনিধিদল।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রতিনিধিদলের ছয় সদস্য বারিধারায় হাইকমিশনে গিয়ে স্মারকলিপিটি জমা দেয়।

নয়াপল্টন থেকে বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মীর অংশগ্রহণে পদযাত্রা করে বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন দুপুর পৌনে ১টার দিকে রামপুরা ব্রিজে পৌঁছালে তাদের আটকে দেয় পুলিশ। তখন পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, নিরাপত্তার স্বার্থে মিছিলকে সামনে যেতে দেওয়া হবে না। শুধু প্রতিনিধিরা যেতে পারবেন স্মারকলিপি দিতে।  

এরপর স্মারকলিপি দেওয়ার জন্য বিএনপির তিন সংগঠনের ছয় প্রতিনিধিকে যাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এই প্রস্তাবে রাজি হয়ে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের প্রতিনিধিরা ভারতীয় হাইকমিশনের উদ্দেশে রওনা হন।

ছয় প্রতিনিধি হলেন- যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসির।

দুপুর ১টার দিকে প্রতিনিধিদল গুলশানে হাইকমিশনে পৌঁছালে তাদের স্মারকলিপিটি জমা নেওয়া হয়।

এসময় যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না বলেন, যারা আগরতলায় বাংলাদেশের হাইকমিশনে ভাঙচুর করেছে এবং পতাকা পুড়িয়ে দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা আমরা আগেই জানিয়েছি। ভারতীয় মিডিয়ার মিথ্যা প্রচারণার প্রতিবাদে আজকে আমাদের স্মারকলিপি কর্মসূচি ছিল। আজকে আমরা ভারতীয় হাইকমিশনের কাছে আমাদের প্রতিবাদের স্মারকলিপি পৌঁছে দিয়েছি ।  

তিনি বলেন, আমাদের বক্তব্য খুবই পরিষ্কার। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের ওপর কোনো কিছু হলে বিএনপিসহ সারাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, সার্বভৌমত্বের বিষয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। তার এই কথার প্রতিধ্বনিতে আজকে যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল রাজপথে করেছে। আমাদের এই প্রতিবাদ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ ছিল। আমরা কোনো প্রকার সন্ত্রাসে বিশ্বাসী নই। বাংলাদেশের মুসলমান শান্তিপ্রিয় মুসলমান। আমরা কোনো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ভেতর নেই।  

তিনি বলেন, ৯০ শতাংশ মুসলিমের দেশে ইসকন যেভাবে একজন আইনজীবীকে হত্যা করেছেন, তা খুবই নিন্দনীয়। তবে এই ঘটনার পরও বাংলাদেশের মানুষ সর্বোচ্চ ধৈর্যশক্তি দেখিয়েছে। কিন্তু ভারতে প্রতিনিয়ত মুসলমানদের নির্যাতন করা হচ্ছে।  এই উগ্রবাদীদের প্রতি তীব্র নিন্দা জানাই। পাশাপাশি বাংলাদেশের সীমান্তে যারা হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে তাদের প্রতি তীব্র নিন্দা জানাই।  

তিনি বলেন, ভারতের প্রতি আমরা প্রতিবেশীসুলভ আচরণ করতে চাই। ইতোমধ্যে বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়া বলেছেন, বাংলাদেশের বাইরে আমাদের কোনো প্রভু নেই, কিন্তু বন্ধু আছে। আমরাও এই একই সুরে বিশ্বাসী, আমরা বন্ধুসুলভ প্রতিবেশী চাই।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০২৪
ইএসএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।