ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৪ পৌষ ১৪৩১, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

ভারতে ‘ধর্ষণ মামলার তদন্তে’ আ. লীগের ৪ নেতা আটক হওয়ার গুঞ্জন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০২৪
ভারতে ‘ধর্ষণ মামলার তদন্তে’ আ. লীগের ৪ নেতা আটক হওয়ার গুঞ্জন প্রতীকী ছবি

সিলেট: ভারতের কলকাতা থেকে সিলেট জেলা পরিষদের অপসারিত চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তিসহ চার নেতাকে আটক করা হয়েছে বলে গুঞ্জন ছড়িয়েছে। মেঘালয় রাজ্যের শিলং পুলিশ তাদের কলকাতা থেকে আটক করেছে বলে এ গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে সিলেটের বিভিন্ন মহলে।

যদিও কলকাতা পুলিশের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে যোগাযোগ করা হলে বিষয়টি তারা নিশ্চিত করেনি।

ওই দুই নেতার সঙ্গে অন্য যে দুই আওয়ামী লীগ নেতার আটক হওয়ার খবর মিলেছে তারা হলেন- সিলেট মহানগর যুবলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল লতিফ রিপন ও সদস্য ইলিয়াস হোসেন জুয়েল।

কলকাতা, শিলং ও সিলেটের একাধিক সূত্র জানায়, রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে কলকাতার নিউ টাউন এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে কলকাতা পুলিশের সহায়তায় তাদের আটক করে শিলং পুলিশ। রাতেই তাদের মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে নেওয়া হয়েছে।

তবে ওই সময় আওয়ামী লীগের ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের শীর্ষ সারির কয়েকজন নেতা ওই ফ্ল্যাট থেকে পালিয়ে যান। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শফিউল আলম নাদেল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আফসর আজিজ ও মহানগর স্বেচ্চাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাশ মিটু উপস্থিত থাকলেও তারা সটকে পড়েন বলে সূত্র জানায়।

শিলং পুলিশের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ৫ আগস্ট বিষম্যবিরোধী আন্দোলনে সরকার পতনের পর প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান।  এরপর  আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে চলে যান। অনেকে পালিয়ে দেশ ছাড়েন। সিলেট আওয়ামী লীগের নেতারা তামাবিল সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে শিলংয়ে অবস্থান করেন। ৬ আগস্ট গ্রেপ্তার নেতাদের অবাসস্থলে একটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

ওই ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে শিলং থানায় ছয়জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। ওই ঘটনার পর শিলং পুলিশ অভিযুক্তদের মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে। কিন্তু তাদের পক্ষ থেকে পুলিশের ফোন রিসিভ না করায় ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শিলং পুলিশ কলকাতা পুলিশের সহায়তায় তাদের আটক করে।

সূত্র জানায়, কলকাতার একটি ফ্ল্যাট থেকে অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন, আলম খান মুক্তি, রিপন ও জুয়েল ছাড়াও সুনামগঞ্জের এক ইউপি চেয়ারম্যানকেও গ্রেপ্তার করেছিল শিলং পুলিশ।

পরে সেখানে অবস্থানরত আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল তাদের ছাড়াতে তদবির শুরু করেন। এরপর মামলার এজহারে নাম না থাকায় সেই ইউপি চেয়ারম্যানকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে সূত্র নিশ্চিত করে।

এদিকে, এসব তথ্য নিশ্চিত হতে কলকাতা পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট মহলে যোগাযোগ করে বাংলানিউজ। কিন্তু কলকাতা পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। অন্য সংশ্লিষ্ট মহলও এমন কোনো তথ্য জানে না বলে জানিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০২৪
এনইউ/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।