ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

রাজনৈতিক দলের পেছনে লাগার দরকার নেই: জাহিদ হোসেন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪
রাজনৈতিক দলের পেছনে লাগার দরকার নেই: জাহিদ হোসেন জেটেব আয়োজিত আলোচনা সভা। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, রাজনৈতিক দলের পেছনে লাগার দরকার নেই, আপনারা আপনাদের ভেতর ঘাপটি মেরে থাকা স্বৈরাচারের দোসরদের পিছনে লাগুন। তাদের প্রশাসন এবং আপনাদের আশপাশ থেকে সরিয়ে দিন।

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটোরিয়ামে জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ - জেটেব আয়োজিত ‘বিএনপি ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা: প্রেক্ষিত টেক্সটাইল সেক্টর’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, মানুষের আকাঙ্ক্ষা বোঝার চেষ্টা করুন। মানুষের অধিকার দ্রুততার সঙ্গে ফেরত দেওয়ার চেষ্টা করুন। তাহলেই মানুষ আপনাদের সাধুবাদ জানাবে। ইতিহাস আপনাদের ধারণ করবে। হিটলারও ফেরত আসেনি, তার বংশধরেরাও ফিরে আসেনি। লক্ষণ সেনের গোষ্ঠীরও কেউ ফিরে আসেনি। পতিত স্বৈরাচারেরও বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্থায় ফিরে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই।

বিএনপি ক্ষমতায় যেতে রাজনীতি করে না উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির ে সদস্য বলন, আমরা বলি না তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী বানানোর জন্য বিএনপি রাজনীতি করে। বিএনপি জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য রাজনীতি করে। আজ যারা বলার চেষ্টা করেন, আন্দোলনের মূলমন্ত্র ছিল এটা, ওইটা। আমরা আপনাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, আন্দোলনের মূলমন্ত্র ছিল জনগণের অধিকার আদায় করা। সেটিই হলো বিএনপির দাবি।  

তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র ভাইয়েরা আন্দোলন করেছেন, আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি। আবু সাইদ, মুগ্ধসহ দুই হাজারের মতো সেই ছাত্র-জনতা, শিশু আমার ভাই-বোনেরা শহীদ হয়েছেন; বিএনপিরও ৪২২ জন নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন। আজ ঐক্যের প্রয়োজন। ঐক্যবদ্ধ হলেই দেশ এগিয়ে যাবে।  

ভারতের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশের ভাইয়েদের সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং কোনো কোনো টেলিভিশনে কিন্তু তাদের (আওয়ামী লীগ)  ষড়যন্ত্র কিন্তু থেমে নেই। তারা লাখ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে। দেশের অর্থনীতি পঙ্গু করেছে। আপনাকে, আমাকে বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। অস্ত্র লুটপাট করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে তাদের লাখ লাখ দলীয় কর্মী নিয়োগ দিয়ে দলীয় বাহিনীতে রূপান্তরিত করেছিল।  

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দেশবাসী, পৃথিবীর মানুষের আস্থা আছে। সরকারকে সহযোগিতা করছে দেশের মানুষ একদম নিঃশর্তভাবে; কাজেই তাদের (সরকার) সিদ্ধান্ত হতে হবে আরও বলিষ্ঠ, আরও দ্রুত। তা না হলে সেই স্বৈরাচারের দোসর যারা প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় ঘাপটি মেরে আছে, তারা কিন্তু ফণা তোলার জন্য, আপনাকে বিভ্রান্ত করার জন্য চেষ্টা করছে, করবে, তাদের বিষদাঁত ভেঙে দিতে আইডেন্টিফাই করুন।  

তিনি আরও বলেন, আমরা আজ অনেক কথা শুনি। সব কথা শুনব, চিন্তা করব, তারপর কমেন্টস করবো, তাহলে ভুল কম হবে। আর যদি আপনি না-ই শোনেন, চিন্তা না করেন, তাহলে ভুল হয়ে যাবে। কাজেই আমরা যখন শুনি, ৫৩ বছরে সংস্কার হয়নি, তখন আমাদের মনে কষ্ট লাগে। কারণ যিনি বলেন তার বয়স ৫৩ হয়নি। বাংলাদেশের সংস্কারের যে ধারাবাহিক প্রক্রিয়া তিনি জানেন না, অথবা স্বীকার করতে চান না অথবা বুঝতে পারেন না।

জেটেব সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. ফখরুল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভাটি পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক এ বি এম রুহুল আমীন আকন্দ। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪
ইএসএস/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।