ঢাকা, রবিবার, ২০ পৌষ ১৪৩১, ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪ রজব ১৪৪৬

রাজনীতি

বিদ্যুতে ‘ম্যাজিক পরিকল্পনা’ দেখাতে গিয়ে পকেট কেটেছে আ.লীগ: টুকু 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০২৫
বিদ্যুতে ‘ম্যাজিক পরিকল্পনা’ দেখাতে গিয়ে পকেট কেটেছে আ.লীগ: টুকু 

ঢাকা: আওয়ামী লীগ বিদ্যুতে ‘ম্যাজিক পরিকল্পনা’ দেখাতে গিয়ে মানুষের পকেট কেটেছে এমন মন্তব্য করেছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।  

তিনি বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার নীলনকশা করে বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতে চরম অনিয়ম ও দুর্নীর্তির মাধ্যমে অর্থ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেছে।

এই বিদ্যুতের কারণে ২০২৭ সালের পরে দেশে বৈদেশিক মুদ্রা সংকট দেখা দেবে।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের ‘গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ সরকার শাসনামলে বিদ্যুৎ খাতের অনিয়ম ও দুর্নীতি চিত্র তুলে ধরতে’ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব বলেন।  

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।  

ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে উন্নয়নের নামে বিদেশে রোড-শো আয়োজন করা হয়। এর মাধ্যমে বিনিয়োগকারী, বৈদেশিক ঠিকাদার, ব্যাংক, এবং বিভিন্ন এজেন্ট সংগ্রহ করা হয়। পরে বলা হয়, বিদ্যুতের অপর্যাপ্ত সরবরাহের কারণে উচ্চ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা, দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি, এবং কৃষি উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটানোর জন্য একের পর এক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের অনুমতি দেওয়া হয়। এর পেছনে উদ্দেশ্য ছিল জনগণকে ধোকা দিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ লুটপাটসহ বিদেশে অর্থ পাচার করা।

তিনি বলেন, প্রথম পর্যায়ে তিন থেকে পাঁচ বছরের জন্য রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের লাইসেন্স দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে ১৫ থেকে ২২ বছরের মেয়াদি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনেও মনোযোগ দেওয়া হয়। বিদ্যুৎ খাত শুরু থেকেই ছিল অপরিকল্পিত। ১৫ বছরে তিনটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরি হলেও সেগুলোর বাস্তবায়ন হয়নি। বরং মাস্টারপ্ল্যান এড়িয়ে একের পর এক বিদ্যুৎকেন্দ্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়। আর এসব বিষয় নিয়ে যাতে কোনো ধরনের আইনি প্রশ্ন না উঠে এজন্য ২০১০ সালেই বিতর্কিত দায়মুক্তি প্রণয়ন করে সরকার।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য অভিযোগ করেন, আইনগত জবাবদিহিতা এড়ানোর জন্য ২০১০ সালে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন’, ২০১০ প্রণয়ন করা হয়। প্রথমে এটি দুই বছরের জন্য কার্যকর করা হলেও পরবর্তীতে কয়েক দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৬ সাল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। মাত্র দুই বছরের জন্য আইন করা হলেও তা ১৫ বছর ধরে চলছে।

টুকু আরও বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার আত্মসাৎ হয়েছে। দুর্নীতির সঙ্গে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিকও জড়িত রয়েছেন।

এসময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, রাজনৈতিক তর্ক-বিতর্কে আ’লীগের দুর্বৃত্তায়ন, চুরি, লুটপাট নিচে পড়ে যাচ্ছে। এতে এক ধরনের সুবিধা পেয়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ দেশটাকে ফোকলা করে দিয়েছে , এগুলোর না তুলে ধরলে মানুষ এগুলো ভুলে যাবে। এ কথাগুলো আমাদের বারবার বলা দরকার। আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি করেছে বিদ্যুৎ খাতে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০২৫
ইএসএস/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।