গাজীপুর: গাজীপুরে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে একদল ছাত্র-জনতাকে বেধড়ক পিটিয়েছেন আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকরা। এতে ১৫ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ধীরাশ্রম এলাকার বাড়িটিতে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা মোজাম্মেল হকের ওই বাড়িতে গেলে মসজিদের মাইকে ডাকাত বলে মাইকিং করা হয়। এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগের নেতা, কর্মী ও সমর্থকরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালায়। তাদের বেধড়ক মারধর করা হয়। এসময় ছাত্রদের মধ্যে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। পরে আহতদের উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ সুযোগে বহিরাগতরা মোজাম্মেল হকের বাড়িতে লুটপাট করে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
হাসপাতালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক প্রতিনিধি সাংবাদিকদের বলেন, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আর কোনো বাড়িতে যেন হামলার ঘটনা না ঘটে সেজন্য তারা বিভিন্ন এলাকায় লোকজনকে সচেতন করে আসছেন। এরই অংশ হিসেবে ধীরাশ্রম এলাকায়ও তারা সচেতনতা তৈরি করেন এবং অনেককে মোবাইল নম্বরও দেন। এর মধ্যে খবর পান একদল লোক মোজাম্মেল হকের বাড়িতে ঢুকে পড়ে লুটপাট করছে। তখন তাদের থামাতে বৈষম্যবিরোধীদের একদল প্রতিনিধি ওই বাড়িতে আসে। একটি অংশ আগে বাড়িটিতে গিয়ে তাদের থামাতে যায়। এর মধ্যেই হঠাৎ রামদা, ছুরি, চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ছাত্রদের ওপর 'ধর ধর' বলে হামলা চালায় একদল যুবক।
ওই প্রতিনিধি অভিযোগ করেন, ঘটনার আড়াই ঘণ্টা পর পুলিশ ঘটনাস্থলে এসেছে। তারা যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারেনি। হামলা মারধরে ১৫ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
এদিকে গাজীপুর মেট্রোপলিটনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি-উত্তর) রবিউল ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিনে দেশজুড়ে চলমান ঘটনার রেশ ধরে সেখানে ঘটনাটি ঘটেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা সাবেক মন্ত্রীর বাড়িতে গেলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা পাল্টা তাদের ওপর হামলা করেন। এতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ১৪ জন আহত হয়েছেন। তারা গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
বাংলাদেশ সময়: ০২০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২৫
আরএস/এসআরএস