ঢাকা, বুধবার, ৫ ফাল্গুন ১৪৩১, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯ শাবান ১৪৪৬

রাজনীতি

‘জালিমরা পালিয়েছে, মজলুমকে মুক্তি দিন’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৫
‘জালিমরা পালিয়েছে, মজলুমকে মুক্তি দিন’ রাজশাহী মহানগর জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন দলটির নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

রাজশাহী: জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে মিথ্যা অভিযোগের মামলায় বছরের পর বছর জেলখানায় আটকে রাখা হয়েছে দাবি করে দলটির নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার যদি জনগণের ভাষা না বোঝে, তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে। জালিমরা পালিয়েছে মজলুমকে মুক্তি দিন।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে রাজশাহী মহানগর জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, ‘গত ১৬ বছর মানুষের ভোটের অধিকার ও ভাতের অধিকার ছিল না। নিজের ভোট কেউ দিতে পারে নাই। দিনের ভোট রাতেই হয়ে গেছে। জনগণের ভোট ছাড়াই ১৫৩ আওয়ামী লীগ নেতাকে এমপি নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছিল। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতেই ছাত্র-জনতা গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়েছে। কাজেই অন্তর্বর্তী সরকারকেই জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। ’

তিনি বলেন, ‘৩৬ জুলাই দেশ ফ্যাসিবাদের হাত থেকে স্বাধীন হলেও এটিএম আজহারুল ইসলাম এখনও মুক্তি পাননি। আমরা অবিলম্বে এই সরকারের কাছে তার মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ও নির্বাচনী প্রতীক দাঁড়িপাল্লা ফিরিয়ে দেওয়ার আহবান জানাচ্ছি। অন্যথায় জনগণ রাজপথের আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের দাবি আদায় করে ছাড়বে ইনশাআল্লাহ। ’

অধ্যাপক মুজিবুর রহমান আরও বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার দেশের মানুষের ওপর নির্মমভাবে গণহত্যা চালিয়েছে। কোনো অপরাধ ছাড়াই মানুষকে বছরের পর বছর ধরে জেলে বন্দি করে রেখেছে। আমাদের মজলুম নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম তাদেরই একজন। তাই সরকারকে বলব, তাকে দ্রুত মুক্তি দিন। ’

তিনি বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার তাদের ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নির্বিচারে নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। জুডিসিয়াল কিলিংয়ের মাধ্যমে আমিরে জামায়াত মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীসহ জামায়াতের ১১ জন শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে ফাঁসি দিয়ে ও কারারুদ্ধ অবস্থায় হত্যা করেছে। তাই স্বৈরাচার হাসিনা যেই আইন দিয়ে এমন নির্যাতন চালিয়েছে, সেই আইনের মাধ্যমেই এবার গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে তারও বিচার করতে হবে। ’

এর আগে রাজশাহী মহানগরের জাদুঘর মোড় থেকে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এরপর গণকপাড়া মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে রাজশাহী মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা ড. কেরামত আলীর সভাপতিত্বে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এতে রাজশাহী অঞ্চল টিম সদস্য রেজাউর রহমান ও রাজশাহী জেলা আমির অধ্যাপক আব্দুল খালেক, রাজশাহী মহানগরের নায়েবে আমির অধ্যক্ষ সিদ্দিক হোসাইন ও অ্যাডভোকট আবু মোহাম্মদ সেলিম, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি মাহবুবুল আহসান বুলবুল এবং জেলা সেক্রেটারি গোলাম মুর্তজাসহ দলটির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৫
এসএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।