ঢাকা: স্বৈরাচারবিরোধী অভ্যুত্থান চলাকালে ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সহিংসতায় জড়িত ১২৮ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বহিষ্কৃতদের তালিকায় নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের নাম থাকলেও নেই এই শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের নাম।
প্রকাশিত এ সংক্রান্ত তালিকা থেকে বিষয়টি জানা গেছে।
জুলাই-আগস্টে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগঠিত সহিংসতার ঘটনায় ২০২৪ সালের ৮ অক্টোবর আইন অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল হক সুপণের নেতৃত্বে একটি সত্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২২ জনের বিরুদ্ধে হামলায় জড়িত থাকার প্রমাণ পায়।
গতকাল সোমবার (১৭ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি এক সিন্ডিকেট সভায় এই তালিকা উপস্থাপন করা হয়। সত্যানুসন্ধান কমিটির তালিকা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১২৮ জনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। একই সঙ্গে তাদের বিষয়ে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস ইসলামকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তালিকায় সাদ্দাম হোসেন ও শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানকে হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়। তারা সশরীরে হামলায় উপস্থিত ছিলেন বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।
এছাড়া তালিকায় ছাত্রলীগের বিভিন্ন হল পর্যায়ের নেতাদের নাম রয়েছে। তালিকায় স্থান পেয়েছেন বহিরাগতরাও।
স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান চলাকালে ১৫ জুলাই ছাত্রলীগ ক্যাডারদের হাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ব্যাপক মারধরের শিকার হন। ছাত্রলীগের হাতে মার খেয়ে কেবল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৯৭ জন শিক্ষার্থী চিকিৎসা নেন। অনেক শিক্ষার্থী রাতে হলে ফিরে মারধরের শিকার হন। ১৬ ও ১৭ জুলাই শিক্ষার্থীদের ওপর আবারও হামলা করা হয়। ১৭ জুলাই বিকেল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন। এরপর থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কয়েকবার হামলার ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: জুলাই আন্দোলনে হামলায় ঢাবির ১২৮ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২৫
এফএইচ/এইচএ/