ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২, ০১ মে ২০২৫, ০৩ জিলকদ ১৪৪৬

রাজনীতি

ইশরাককে মেয়র ঘোষণা: ইসির ভূমিকা নিয়ে এনসিপির উদ্বেগ

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:০১, এপ্রিল ৩০, ২০২৫
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা: ইসির ভূমিকা নিয়ে এনসিপির উদ্বেগ এনসিপি

ঢাকা: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র পদ নিয়ে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের মামলা, একতরফা রায় এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কার্যক্রম ও তৎপরতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব সালেহ উদ্দিন সিফাত পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, বিচার বিভাগের মর্যাদা রক্ষা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতার বিষয়ে এনসিপি সর্বোচ্চ মনোযোগ দাবি করছে।  

বিবৃতিতে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, এই মামলার প্রথম তিন বছর পাঁচ মাসে ৩২টি তারিখ নির্ধারণ করা হলেও ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে  চার মাসে ১৭টি তারিখ দিয়ে মামলাটি তড়িঘড়ি করে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। কিন্তু একই সময়ে অন্যান্য মামলার ক্ষেত্রে এত দ্রুততার সাথে তারিখ ধার্য করা হয়নি। ফলে ট্রাইব্যুনাল শুধু এই মামলার একটি পক্ষকে বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়ে অন্যায্য সুবিধা দিয়েছে কি না তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। তদুপরি, মামলার গুরুত্বপূর্ণ হলফনামাগুলো বেআইনিভাবে তৃতীয়পক্ষের মাধ্যমে সম্পাদন ও দাখিল করে আর্জি সংশোধন করে ভিন্নধর্মী প্রতিকার চাওয়া হয়েছে। কিন্তু ট্রাইব্যুনাল কোনোরূপ বিচার-বিবেচনা ব্যতিরেক তা গ্রহণ ও মঞ্জুর করেছেন। এ ঘটনাগুলো বিচারিক পদ্ধতির স্বচ্ছতা এবং নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

এ মামলায় ইসি ভূমিকা রহস্যজনক ছিল বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইসি এ মামলার বিবাদী হওয়া সত্ত্বেও মামলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি, এর ফলে একতরফা রায় দেওয়া হয়েছে। এমনকি রায়ের পরে তারা উচ্চ আদালতে প্রতিকার প্রার্থনা না করে মামলার বাদীকে বিশেষ সুবিধা দিয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়। কমিশনের এমন তৎপরতা অস্বাভাবিক ও উদ্বেগজনক।

তিনি বলেন, এর আগেও নির্বাচন কমিশন তার নিরপেক্ষ আচরণ বজায় রাখার পরিবর্তে এমন সব বক্তব্য দিয়েছে, যা একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলকে সুবিধা দিচ্ছে বলে জনগণ মনে করে।

তিনি আরও বলেন, এই রায় ঘোষণার আগেই সংশ্লিষ্ট আইনের অধীন ১৯ আগস্ট ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে। ফলে পুরো মামলাটিই অকার্যকর হয়ে গেছে। এরপরও রায় ও তড়িঘড়ি করে কমিশনের মাধ্যমে গেজেট প্রকাশের পেছনে কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য ছিল কি না, তা জনসাধারণের সামনে পরিষ্কার করতে হবে। আমরা মনে করি, একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচারব্যবস্থা ছাড়া গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা অসম্ভব। এনসিপি এই পুরো ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করছে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে তারা আশা করছে।  

এফএইচ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।