ঢাকা: দীর্ঘ চার মাস লন্ডনে উন্নত চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। প্রিয় নেত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে বিমানবন্দরের সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়ক ও ৮ নম্বর ভিআইপি গেটের সামনে ভিড় করছেন দলটির নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার (০৬ মে) ভোর থেকেই বিমানবন্দরে আসতে শুরু করেন বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। বিএনপির নির্দেশনা ছিল, বিমানবন্দর থেকে হোটেল লা মেরিডিয়ান পর্যন্ত রাস্তার পাশে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির নেতাকর্মীরা অবস্থান নেবেন। তবে অনেকে বিমানবন্দরের ভেতরে ৮ নম্বর গেটের সামনেও জড়ো হন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাস, পিকআপসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে বিমানবন্দরের সামনে এসেছেন বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। তাদের হাতে খালেদা জিয়া ছবির পাশাপাশি দলীয় ও বাংলাদেশের পতাকা রয়েছে। তারা ‘খালেদা জিয়ার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম’; ‘খালেদা জিয়া ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছেন। বিমানবন্দরের ভিআইপি গেটের সামনে অনেকে ব্যানার নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।
নেতা-কর্মীদের অবস্থান ঘিরে সড়কে ও বিমানবন্দর এলাকায় পুলিশ, সেনাবাহিনী, র্যাব, এপিবিএন, আনসারের বিপুল সংখ্যক সদস্যকে সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে। পল্টন থেকে আসা বিএনপি সমর্থক সাদিক হোসেন বলেন, চার মাস পর নেত্রী দেশে আসছেন। আমাদের আপসহীন নেত্রীকে আমরা অভ্যর্থনা জানাতে আজকে এখানে এসেছি।
এদিকে, যুক্তরাজ্যে উন্নত চিকিৎসা শেষে বাংলাদেশের পথে রওনা হয়েছেন খালেদা জিয়া। সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত সোয়া ৯টায় লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে তাকে বহনকারী কাতারের রাজকীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকার উদ্দেশে উড়াল দেয়। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে তার।
স্বদেশ প্রত্যাবর্তনযাত্রায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে আছেন তার বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান এবং ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান সিঁথি।
উন্নত চিকিৎসার জন্য ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে থেকে রওনা হয়ে ৮ জানুয়ারি যুক্তরাজ্যে পৌঁছান বিএনপি প্রধান। বিশেষায়িত লন্ডন ক্লিনিকে টানা ১৭ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। পরে ২৫ জানুয়ারি থেকে তিনি বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় লন্ডন ক্লিনিকের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এসসি/আরএইচ