ঢাকা: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমান দুস্থ ছিন্নমূল শিশু-কিশোরদের জন্য সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর প্রতিষ্ঠা করা ‘সুরভি’র ধানমন্ডি কার্যালয় পরিদর্শন করেছেন।
মঙ্গলবার (২৭ মে) দুপুরে ডা. জুবাইদা রহমান ‘সুরভি’র কার্যালয়ে গেলে তাকে শিশু-কিশোর শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীরা ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
এরপর ডা. জুবাইদা রহমান ‘সুরভি’র ক্লাসরুম পরিদর্শন করেন। এসময় ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন ও নানা প্রশ্ন করে তাদের মনের কথা জেনে নেন ডা. জুবাইদা। তাদের কবিতা আবৃত্তি, কুরআন তেলওয়াত শোনেন তিনি। ছাত্রী-ছাত্রীদের তিনি উৎসাহ দেন এবং তাদের লক্ষ্যপূরণে পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
এরপর ৪৭ বছর ধরে দেশজুড়ে চলা ‘সুরভি’র কার্যক্রমের আলোকচিত্র ও ছবির প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন ডা. জুবাইদা রহমান। নিজের মা ও ‘সুরভি’র প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর আঁকা ছবিগুলোও পরিদর্শন করেন ডা. জুবাইদা রহমান।
একপর্যায়ে ‘সুরভি’র ওপর নির্মিত একটি ভিডিওচিত্রের প্রদর্শনী উপভোগ করেন তিনি।
‘সুরভি’র নির্বাহী পরিচালক মো. আবু তাহেরসহ অন্যান্য শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও অতিথিরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
সবশেষে সেখানে উপস্থিত শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন তিনি।
স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত বিশিষ্ট সমাজসেবক সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু ১৯৭৯ সালে ছিন্নমূল শিশু-কিশোরদের জন্য প্রতিষ্ঠা করেন সুরভি নামে একটি প্রতিষ্ঠান। যা শিক্ষার আলোয় আলোকিত করেছে প্রায় ৪০ লাখ শিশু-কিশোরকে। তাদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলায় ‘সুরভি’র প্রয়াস অত্যন্ত প্রশংসনীয়। ‘সুরভি’ একটি বিশ্বাস এবং এ আত্মবিশ্বাস নিয়েই শিশু-কিশোরদের অজ্ঞতার অন্ধকার থেকে জ্ঞানের আলোয় আলোকিত জীবনে উৎসাহিত করা হয়।
এদিকে ডা. জুবাইদা রহমান তার বক্তব্যে বলেন, ‘সুরভি’র ছাত্র-ছাত্রীরা কুরআন তেলওয়াত, তর্জমা, কবিতা আবৃত্তি উপস্থাপনা, নাচ, গান ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক চর্চায় পারদর্শী। শিক্ষাদান কর্মসূচি ছাড়াও ‘সুরভি’র ব্যাপক সমাজকল্যাণমূলক কার্যক্রম রয়েছে। যেমন- যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে ‘সুরভি’র সদস্যরা দেশের দূরদূরান্তে ছুটে যান-মানবতার সেবায়। সুরভির বিভিন্ন কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে-দেশের ৪১ জেলায় টিউবওয়েল প্রতিস্থাপন কর্মসূচি, বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানো, নারীদের কম্পিউটার ট্রেনিং, উচ্চতর শিক্ষার ক্ষেত্রে বৃত্তিদান কর্মসূচি, মেডিকেল সরঞ্জাম সরবরাহ, রক্তদান কর্মসূচি ও দ্বিবার্ষিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা।
টিএ/এসআই