ঢাকা: বৈষম্যহীন সমাজের ‘ভিশন’ (লক্ষ্য) বাজেটে নেই বলে উল্লেখ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপি কার্যালয়ে দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এ কথা জানান।
নাহিদ ইসলাম বলেন, বিগত ১৫/১৬ বছরের ফ্যাসিবাদের শাসন ব্যবস্থায় শুধু রাজনীতিই ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়নি, ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অভ্যুত্থানের পরে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়া পর দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ছিল। আমরা ব্যাংকগুলোর দুর্দশা দেখেছি। লুটপাটের অর্থনীতির ভেতরে বাংলাদেশ ছিল। অভ্যুত্থানের পরে মানুষের প্রত্যাশা ছিল অর্থনৈতিক রূপান্তর ঘটবে। যে বৈষম্যহীন আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার জন্য এই গণঅভ্যুত্থান, সেই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার ভিশন, অর্থনৈতিক রূপান্তরের পলিসি এই বাজেটের মধ্যে আমরা পাবো।
এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, আমাদের কাছে মনে হয়েছে বর্তমান সময়ের অর্থনৈতিক সমস্যাগুলো সরকার অ্যাড্রেস করতে পেরেছে। কিন্তু তার প্রোপার সলিউশন কিংবা স্ট্র্বাটেজি, বা যেই ভিশনটার কথা আমরা বলছি বৈষম্যহীন সমাজের সেটা এই বাজেটের মধ্যে আসেনি। নতুন বন্দোবস্ত, অর্থনৈতিক রূপান্তরের যে আকাঙ্ক্ষা সেটার পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেনি। আগের অর্থনীতির অনেক ছাপ এই বাজেটে দেখা যাচ্ছে।
তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশে আমরা ভেবেছিলাম ধনী-গরিবের আয় বৈষম্য কমে আসবে। বাজেটে আয় বৈষম্য কমার কার্যকর কোনো উদ্যোগে আমরা দেখিনি। করদাতা আগের সংখ্যাই বিদ্যমান রয়েছে। যেসব প্রতিষ্ঠান কর ফাঁকি দেয়, তাদের করের আওতাও আনার কার্যকর পদক্ষেপ দেখিনি। এর ফলে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের ওপরে করের যে চাপ ছিল, সেটা অব্যাহত থাকবে। কিছু নিত্যপণ্যের দাম কমানো হলেও, তাদের ওপর যে চাপ সেটা কমবে না।
আরকেআর/এএটি