ঢাকা: জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে জাপানের ঢাকাস্থ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনইচি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
রোববার (২২ জুন) দুপুরে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের অত্যন্ত আন্তরিকতা ও হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে এ বৈঠক হয়।
বৈঠকে আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা তুলে ধরেন। পাশাপাশি তিনি বাক-স্বাধীনতা ও ধর্মীয় অধিকার সম্পর্কে দলের অবস্থান তুলে ধরেন।
বাংলাদেশের স্বৈরশাসনামলে রাজনৈতিক নিপীড়ন বিশেষ করে নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়ার বিবরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, মূলত পতিত আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিয়েছে। তিনি ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে নির্বাচনের নামে প্রহসনের দৃশ্য তুলে ধরেন। জাপানের সাবেক রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের ২০১৮ সালের নির্বাচনকে ‘মধ্য রাতের নির্বাচন’ বলে যে মন্তব্য করেছিলেন, তা তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।
এ সময় জামায়াতের আমীর বিচারের নামে জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের মিথ্যা ও সাজানো মামলায় অন্যায়ভাবে হত্যা করার বর্ণনা দেন এবং পতিত ফ্যাসিবাদ আমলের জেল, জুলুম-নির্যাতন, অপহরণ ও গুম-খুনের একটি চিত্র তুলে ধরেন। স্বৈরশাসনামলে জামায়াত সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছে সে সম্পর্কে তাকে অবহিত করেন।
জাপানের রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনইচি আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানকে ধন্যবাদ জানিয়ে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন ও বাংলাদেশের সঙ্গে জাপানের বিদ্যমান সম্পর্কের ব্যাপারে তার অবস্থান তুলে ধরেন। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। ভবিষ্যতে জাপান ও বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে সদ্য কারামুক্ত মজলুম জননেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম, নায়েবে আমির সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের ও সাবেক এমপি মাওলানা আনম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন এবং আমিরে জামায়াতের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মাহমুদুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
টিএ/জেএইচ