চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আইনশৃংখলা রাকারী বাহিনীসহ নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত বিভিন্ন সংস্থার ব্যবহারের জন্য এক হাজার মাইক্রোবাস, বাস, ট্রাক, পিক-আপ, সিএনজি এবং হিউম্যান হলার রিকুইজিশন করবে পুলিশ।
১৪ থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত টানা চার দিন এসব গাড়ি ব্যবহার করা হবে।
এক সঙ্গে এত গাড়ি পাওয়া যাবে না এই আশঙ্কা করে আগে থেকেই চালকদের রিকুইজিশন ফর্ম দিতে শুরু করেছে ট্রাফিক বিভাগ।
তবে মাইক্রোবাস রিকুইজিশন করতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে ট্রাফিক বিভাগ।
সূত্র জানায়, প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরণবিধি পর্যবেণের দায়িত্বে নিয়োজিত ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেদের জন্য ২০টি, সিএমপি’র ১২টি থানায় ১২টি , গোয়েন্দা সংস্থার জন্য ৫টি, ্এছাড়া নির্বাচন কমিশন এবং বিভিণœ সংস্থার জন্য এখনই প্রতিদিন ৮০টির বেশি মাইক্রোবাসসহ শতাধিক গাড়ি প্রয়োজন হচ্ছে।
কিন্ত ব্যক্তিতগত কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাস কেউ হাতছাড়া করতে চায় না। তাই রিকুজিশন করতে গেলেই নানা রকম অজুহাত, অভিযোগ ও তদবির আসছে।
এই প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) ফারুক আহমেদ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘নির্বাচনের সামনে রেখে মাইক্রোবাস রিকুইজিশন প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। কিন্তু নানা অভিযোগ, বিভিন্ন মহলের তদবিরের কারণে আমরা তা রিকুইজিশন করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছ্। ি’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে মাইক্রোসহ অন্যান্য গাড়ি রিকুইজিশনও তত বাড়ছে। সব মিলিয়ে রিকুজিশন করা গাড়ির সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়ে যাবে। ’
ফারুক আহমেদ আরও জানান, নির্বাচনে প্রয়োজনীয় গাড়ি রিকুইজিশনের জন্য গাড়ির মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার বিকেলে এ সংক্রান্ত এক পর্যালোচনা সভায় রিকুইজিশনের অগ্রগতি জানা যাবে।
ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচনে ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন সংস্থা থেকে প্রাথমিকভাবে ৬৫০টি গাড়ির চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে বাস ১৮৬টি, ট্রাক ১৭৫টি, মাইক্রোবাস ৬৪টি, পিক-আপ ৯৫টি, হিউম্যান হলার ৫০টি, অটো রিক্সা ও টেম্পো ৮০টি।
এছাড়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর), আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়ন (এপিবিএন), আনসার, নির্বাচন কমিশনের পর্যবেকদের জন্য গাড়ির চাহিদা ট্রাফিক বিভাগের কাছে এখনো পৌঁছেনি।
দুই জন সার্জেন্টের নেতৃত্বে চার জন কনস্টেবল দিনভর এখন এসব গাড়ি রিকুইজিশনের কাজ করছেন।
রিকুইজিশনের স্লিপ বাতিল করতে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা টেলিফোন কল ও তদবির করছেন। শেষ পর্যন্ত কতগুলো গাড়ি সংগ্রহ করা যাবে এ নিয়ে চিন্তিত ট্রাফিক বিভাগ।
বাংলাদেশ সময় ১৫০০ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০১০
এইচএস/এমএমকে/জেএম