ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস কাল বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে আওয়ামী লীগ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪০ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০১০

ঢাকা: আগামীকাল ৭ জুন, ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস। এটি বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে প্রতিবাদ আর   আত্মত্যাগে ভাস্বর গৌরবোজ্জ্বল সংগ্রামী অনন্য এক দিন।



বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসকগোষ্ঠীর পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে জাতিকে মুক্ত করতে ১৯৬৬ সালে ৬-দফা দাবি তুলে ধরেন। এই ৬ দফা দাবি বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করে। দেশ এগিয়ে চলে স্বাধীনতা সংগ্রামের পথে।

আওয়ামী লীগ প্রতিবারের মতো এবারও এই ঐতিহাসিক দিনটি বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করবে।

সকাল ৫ টা ১০মিনিটে বঙ্গবন্ধু ভবন, দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও সারা দেশে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, ৭ টা ৩০ মিনিটে ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হবে।

বিকেল ৪ টায় ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজন করা হবে আলোচনা সভা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভাপতিত্ব করবেন দলের সভাপতিমন্ডলির সদস্য, সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। সভায় জাতীয় নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীরা আলোচনায় অংশ নেবেন।

১৯৬৬ সালের ১৩ মে পল্টনে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ৭ জুন হরতালের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। জুন মাসব্যাপী ৬-দফা কর্মসূচি প্রচারে বিপুল কর্মসূচি নেওয়া হয়। ৭ জুন তেজগাঁওয়ে বেঙ্গল বেভারেজের শ্রমিক সিলেটের মনু মিয়া গুলিতে প্রাণ হারান। এতে বিােভের প্রচণ্ডতা আরো বাড়ে। তেজগাঁওয়ে ট্রেন বন্ধ হয়ে যায়। আজাদ এনামেল অ্যালুমিনিয়াম কারখানার শ্রমিক আবুল হোসেন ইপিআর-এর গুলিতে শহীদ হন।

একইদিন নারায়ণগঞ্জ রেল স্টেশনের কাছে পুলিশের গুলিতে মারা যান ৬ জন শ্রমিক। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। সন্ধ্যায় কারফিউ জারি করা হয়। হাজার হাজার আন্দোলনকারী ও সাধারণ মানুষ গ্রেফতার হন। বহু জায়গায় জনতা গ্রেফতারকৃতদের ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। ৬-দফাভিত্তিক আন্দোলন ক্রমশ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। শহীদের রক্তে আন্দোলনে যুক্ত হয় নতুন মাত্রা।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয় শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের আন্দোলন। ৬-দফা হয়ে ওঠে স্বাধিকার আন্দোলনের ম্যাগনাকার্টা, পূর্ণ স্বাধীনতাই যার যৌক্তিক পরিণতি। ছাত্র সমাজের ৬-দফাভিত্তিক ১১-দফা পেশ, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার এবং বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতে সৃষ্ট ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান দীর্ঘ পথ পরিক্রমা শেষে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি খুঁজে পায় তাদের মুক্তির ঠিকানা।

বাংলাদেশ সময় ১৮.০০ ঘন্টা, জুন ৫, ২০১০
এসকে/এমএমকে/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।