চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (সিসিসি) নির্বাচনে প্রার্থীদের সহনশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন। বলেছেন, কমিশন চট্টগ্রামে একটি মডেল নির্বাচন করতে চায়।
আজ রোববার চট্টগ্রাম মহানগরীর ডা. খাস্তগীর সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নির্বাচনী প্রশিণ প্রদান অনুষ্ঠান উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। নগরীর ন্যাশনাল প্রাইমারী স্কুল এবং কুসুমকুমারী সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বিদ্যালয়েও চলবে এ প্রশিণ কার্যক্রম।
এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, নির্দলীয় সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন এখন দলীয় নির্বাচনে পরিণত হয়েছে। এখন মন্ত্রণালয় ইচ্ছে করলে স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে আইন করে দলীয় নির্বাচনে পরিণত করতে পারে। এতে নির্বাচন কমিশনের কোনো আপত্তি নেই।
এর আগে নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর কমিশনের পদত্যাগ দাবি করার পুরনো রাজনৈতিক সংস্কৃতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। নির্বাচন কমিশন পদ্মপাতার পানি নয় যে কেউ দাবি করলেই তারা পদত্যাগ করতে হবে।
তিনি বলেন, বিগত সংসদ নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর অনেকে ডিজিটাল কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন। কিন্তু কারচুপির সুনির্দিষ্ট অভিযোগে কেউ একটি মামলাও করেননি।
সিসিসি নির্বাচনে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ২২ জন করে আইনশৃঙ্খলা রাকারী বাহিনীর সদস্য নিয়োগ করা হবে বলে জানিয়ে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সাখাওয়াত হোসেন বলেন, কোনো কেন্দ্রে গন্ডগোল কিংবা অবাঞ্ছিত হস্তপে হলে সরাসরি রিটার্নিং অফিসার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরকে জানাবেন। দ্রুত ওই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বন্ধ করার পদপে নেবেন।
এছাড়া প্রার্থীদের পোলিং এজেণ্টদের ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কেউ যদি ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করে তাকে ম্যাজিষ্ট্রেটের হাতে তুলে দেবেন। ’
নির্বাচন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নিয়োগ পাওয়া প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসারদের আজ থেকে শুরু হওয়া প্রশিণ কার্যক্রম চলবে ১২ জুন পর্যন্ত। প্রথম দিনে আজ বন্দর থানা এলাকার অধীন ১০টি ওয়ার্ডের ৩ হাজার ৭৩ জন কর্মকর্তা প্রশিক্ষণে অংশ নেন।