ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

দুই মামলায় মাহমুদুর রহমান ৪ দিনের রিমান্ডে

আইনজীবীদের জুতা ছোড়াছুড়িতে বিব্রত দুই বিচারক

আদালত প্রতিবেদক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩৩ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০১০

ঢাকা: দৈনিক আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের রিমান্ড শুনানিতে বিব্রত বোধ করেছেন মুখ্য মহানগর হাকিমসহ দুই জন বিচারক। আজ সোমবার কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে মাহমুদুর রহমানের দেওয়া বক্তব্যের জের ধরে দু’পক্ষের আইনজীবীদের বাক-বিতণ্ডা, অবিরাম খিস্তিখেউড় এবং এক পর্যায়ে জুতা ও ফাইল ছোঁড়ার ঘটনা ঘটে।

দু’দফা এমন অনাকাক্সিত ঘটনায় বিব্রত দুই বিচারক এজলাস ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন।  

পরে দুটি পৃথক মামলায় পৃথক অন্য দুটি আদালত শুনানি শেষে মাহমুদুর রহমানের ৩ দিন ও ১দিন মোট ৪ দিন বিমান্ড মঞ্জুর করেন।

পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় রিমান্ড আবেদনের শুনানিতে আইনজীবীদের জুতো,ফাইল ছোঁড়া ও অবিরাম খিস্তিখেউরের মধ্যে প্রথমে মহানগর হাকিম মেহেদী হাসান তালুকদার এবং পরে মুখ্য মহানগর হাকিম এনামুল হক বিব্রত হয়ে এজলাস ছেড়ে যেতে বাধ্য যান।

পরে অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মোহাম্মদ আলী হোসাইনের আদালত মামলাটির শুনানি নিয়ে ৩দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তেজগাঁও থানার এসআই রেজাউল করিম ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে মাহমুদুর রহমানকে আদালতে হাজির করেন।

এছাড়া আদালত প্রাঙ্গণে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে কোতোয়ালী থানায় পুলিশের দায়ের করা অপর একটি মামলায় ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে মাহমুদুর রহমানকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক এইচএম হাবিবুর রহমান ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

দুপুর ২ টা ১৮ মিনিটে মহানগর হাকিম মেহেদী হাসান তালুকদারের আদালতে মাহমুদুর রহমানকে হাজির করা হয়। শুনানিতে আদালতের অনুমতি নিয়ে মাহমুদুর রহমান বক্তব্য দেন। তার কিছু মন্তব্যের কারণে বাদি ও বিবাদিপরে আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। এসময় মাহমুদুর রহমানের পক্ষে অবস্থান নেওয়া আইনজীবীদের মধ্য থেকে আদালতে জুতা ও ফাইল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে বিব্রত হয়ে এজলাস ছেড়ে যান বিচারক।

পরে মুখ্য মহানগর হাকিম এনামুল হককে নিয়ে মেহেদী হাসান এজলাসে ফিরে আসেন। তখনও আইনজীবীদের মধ্যে উত্তেজনা অব্যাহত থাকায় দুই বিচারকই বিব্রত বোধ করে দ্বিতীয় দফায় এজলাস ছেড়ে যান।

পরে অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মোহাম্মদ আলী হোসাইনের আদালতে মামলাটি পাঠানো হয়। সেখানে শুনানির পর পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা দেওয়ার মামলায় মাহমুদুর রহমানের  ৩দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক।
 
এ মামলায় আসামি পে শুনানিতে অংশ নেন সুপ্রিমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ও ঢাকা বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া।

এদিকে, মাহমুদুর রহমানের রিমান্ড মঞ্জুরের প্রতিবাদে বিকালে আমার দেশের সাংবাদিক-কর্মীরা নগরীতে মিছিল-সমাবেশ করেন। এছাড়া পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত জাতীয় প্রেসকাবের সামনে গণঅনশন কর্মসূচি পালন করার কথা জানান তারা।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৯৩৯ ঘন্টা, ৭ জুন ২০১০
এমআই/এএইচএস/এসএফ/এমএমকে/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।