চট্টগ্রাম: ডিজিটাল পদ্ধতিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) পরীক্ষামূলক ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে চট্টগ্রাম মহানগরীর ২১ নম্বর জামালখান ওয়ার্ডে। শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ওয়ার্ডের আটটি কেন্দ্রে এ পদ্ধতিতে ভোট নেওয়া শুরু হয়।
দেশের নির্বাচনী ইতিহাসে এ ধরনের আয়োজন এটিই প্রথম।
নির্বাচন কমিশনের সচিব হুমায়ুন কবির বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, “আমরা আজ পরীক্ষামূলকভাবে এটি শুরু করলাম। তবে আরো প্রচার করা দরকার ছিল। আটটি কেন্দ্রে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ১৪ জন বিশেষজ্ঞ উপস্থিত থেকে স্বয়ংক্রিয় ভোট প্রক্রিয়াটি তদারক করছেন। ”
আগামী ১৭ জুন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন।
এদিকে, ডিজিটাল পদ্ধতির কথা শুনে যারা খানিকটা ভয় পেয়েছিলেন ভোট প্রক্রিয়া শেষে তাদের মুখেই শোনা গেছে ইতিবাচক কথা। বেশিরভাগ ভোটারই বলেছেন এটি সনাতন পদ্ধতির চেয়ে অনেক সহজ।
শওকত হোসেন চৌধুরী নামে একজন অ্যাডভোকেট ভোট কেন্দ্র থেকে ফিরে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, “ম্যানুয়াল পদ্ধতির চেয়ে এই পদ্ধতি অনেক সহজ। অমোচনীয় কালির ব্যবহার নেই। তাই ঝামেলাও তেমন নেই। তাছাড়া প্রতীকগুলোও স্পষ্ট। বোতাম চাপলেই হলো। ”
প্রথমবারের মতো ভোটার হয়েছেন সাবিয়া আক্তার। তিনি বললেন, “জীবনের প্রথম ভোটটি দিয়েছি ডিজিটাল পদ্ধতিতে- ভাবতেই ভালোই লাগছে। ”
এ পদ্ধতিতে কোনো ধরনের জটিলতা নেই বলেও জানান তিনি।
অবশ্য মনিরা বেগম নামে একজন ভোটার বললেন তার সংশয়ের কথা। তিনি প্রশ্ন রাখেন , “আমি একাধিকবার ভোট দিলে তা কীভাবে তা শনাক্ত করা হবে?। ”
এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের সচিব হুমায়ুন কবির বলেন, “একাধিকবার ভোট দেওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। কে ভোট দিয়েছেন আর কে দেননি ডাটাবেজে এর রেকর্ড থাকবে। ”
এর আগে বৃহস্পতিবার নগরীর এনায়েতবাজার এলাকায় ন্যাশনাল প্রাইমারি স্কুলে ২৮৫ জন নির্বাচন কর্মকর্তাকে এ পদ্ধতির ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১২১৫ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১০
আরডিজি/কেএল/জেএম