ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেছেন, গণঅভ্যুথানের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে। এজন্য রাজপথে পুলিশ আর অস্ত্রের মোকাবেলা করতে হবে হাজার হাজার জনতা দিয়ে।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত গণতন্ত্র পুণরুদ্ধার ও পেশাজীবী নির্যাতন বন্ধের দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারী নির্বাচন প্রতিহত করতে তখন প্রেসক্লাব এবং সুপ্রিম কোর্ট এ দুই জায়গায় শক্ত অবস্থান তৈরি হয়েছিলো। কিন্তু অন্যান্য স্থানে দুর্বল আন্দোলনের কারণে তা সফল হয়নি।
রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, মিথ্যার উপর ভর করে সরকার ঠিকে রয়েছে। তাদের প্রতি জনগণের কোনো ম্যান্ডেট নেই। এজেন্সির মাধ্যমে স্বৈরচারীপদ্ধতি চলচে।
তিনি বলেন, আন্দোলনের জন্য সবাইকে একযোগে মাঠে নামতে হবে। অন্যথায় সংকট আরও ঘনিভূত হবে।
সমাবেশে বক্তব্যে ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এম এ আজিজ বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হলে মিছিল মানববন্ধন করে সম্ভব হবে না। বিকল্প চিন্তা করতে হবে। সরকারি বাহিনী সেখানে গুলি ছুড়বে সেখানে আত্মরক্ষার ভঙ্গি নিলে অভিষ্ট লক্ষ্যে যাওয়া যাবে না। এক সঙ্গে শত শত লোক জীবন দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে নতুবা সরকার পতন সম্ভব নয়।
বক্তব্যে অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা বলেন, এখনও যদি আমরা নিরব থাকি, মনের আবেগ প্রকাশ করতে না পারি, তাহলে এই সরকার চিরস্থায়ী রূপ নেবে। জীবন দেওয়ার প্রস্তুতি নিতেই হবে। অনেক সময় অনেক জীবন ও মিছিল স্ফুলিঙ্গ হয়। ডা. মিলন, আসাদ-এসব দৃষ্টান্ত আমাদের সামনে রয়েছে।
এসময় তিনি অঙ্গিকার করেন, জীবন যদি রাজপথে চলে যায় আমি প্রস্তুত আছি।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, ড্যাবের সহ সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম সালাম, খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ডা. এ জেড এম ডা. জাহিন, শওকত মাহমুদ, জাকির আহমদ, প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ০২২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৪