হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলা, ভাঙচুর ও পেট্রল বোমা নিক্ষেপের ঘটনায় বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের ২৪৫ নেতাকর্মীকে আসামি করে পৃথক তিনটি মামলা করেছে পুলিশ।
রোববার রাতে দেড়টার দিকে হবিগঞ্জ সদর থানায় এ তিনটি মামলা রেকর্ড করা হয়।
সহকারী পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম মামলা তিনটির দায়েরের সত্যতা বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় চার্জশিটভূক্ত আসামি জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক ও হবিগঞ্জ পৌর মেয়র জিকে গউছ রোববার দুপুরে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন।
বিজ্ঞ বিচারক রোকেয়া আক্তার বিএনপি নেতা জিকে গউছের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর প্রতিবাদে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এ সময় মিছিল থেকে সরকারি বিভিন্ন স্থাপনা ও যানবাহন ভাঙচুর করা হয়।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষে হবিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিনসহ ৮ পুলিশ সদস্য, পথচারী এবং বিএনপি’র অন্তত ২২ নেতাকর্মী আহত হন।
এছাড়াও রাতে দুর্বত্তরা হবিগঞ্জ শহরের প্রধান সড়কে পুলিশ সুপারের বাসভবনের কাছে পেট্রল জাতীয় দু’টি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।
এসব ঘটনায় হবিগঞ্জ সদর থানা পুলিশ বাদী হয়ে রাতে পুলিশের ওপর হামলা মামলা, বিস্ফোরক মামলা ও দ্রুত বিচার আইনে বিএনপি’র ২৪৫ নেতাকর্মীকে আসামি করে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করে।
এর মধ্যে বিস্ফোরক আইনে ২৯ জনকে এজাহারভূক্ত ও অজ্ঞাতনামা ১৫ জনসহ মোট ৪৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা ও কর্তব্যকাজে বাধার অভিযোগ এনে একশজনকে এজাহারভূক্ত ও অজ্ঞাতনামা আরও ৫০ জনকে আসামি করে পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা এবং শহরের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ও যানবাহন ভাঙচুরের অভিযোগে এজাহারভূক্ত ৩০ জন ও অজ্ঞাতনামা আরও ২০ জনকে আসামি করে দ্রুত বিচার আইনে অপর একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ০২৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৪