রাজশাহী: রাজশাহীতে পুলিশের গাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে হরতাল সমর্থকরা। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে, হরতালের সমর্থনে মিছিল বের করে, নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে শিবির কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এছাড়া, রোববার গভীর রাত থেকে সোমবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
এ বিষয়ে মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর হোসেন খন্দকার বাংলানিউজকে বলেন, সোমবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে মহানগরীর শালবাগান পেট্রোল পাম্পের সামনে, বোয়ালিয়া থানার সহকারী কমিশনারের (এসি) গাড়ি রাখা ছিল। পেট্রোল পাম্পের পাশের গলি থেকে কয়েকজন হরতাল সমর্থক গিয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ওই গাড়ির কাঁচ ভেঙে পালিয়ে যায়।
তিনি বলেন, এছাড়া মহানগরীর রেলগেট, দড়িখড়না ও হোসনগঞ্জ মোড়ে কয়েকটি অটোরিকশা ভাঙচুর করে হরতাল সমর্থকরা। এসময় রেলগেট মোড়ে তারা একটি ককটেলেরও বিস্ফোরণ ঘটনায় তারা। তবে পুলিশ যাওয়ার আগে তারা পালিয়ে যায়।
ওসি আরো বলেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্রশিবির কর্মীরা হরতাল সমর্থনে মহানগরীর ফায়ার সার্ভিস মোড়ে রাস্তায় পেট্রোল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে। সেখানে তারা মিছিল নিয়ে বরেন্দ্র জাদুঘর মোড়ে দিকে যাওয়ার সময় পিছন দিক থেকে পুলিশ গেলে শিবির কর্মীরা পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
এসময় পুলিশের সঙ্গে শিবির কর্মীদের সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এতে শিবির কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটনায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে পুলিশ। এতে হরতাল সমর্থক ছাত্রশিবির কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার (এসি) ইফতে খায়ের আলম বাংলানিউজকে বলেন, সোমবারের হরতালকে কেন্দ্র করে মহানগরীর ৪ থানা এলাকা থেকে ইতোমধ্যে ৩৪ জনকে আটক করা হয়েছে। রোববার গভীর রাত থেকে সোমবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠন এবং জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মী বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৪