ঢাকা, সোমবার, ১৫ পৌষ ১৪৩১, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

খালেদার বিরুদ্ধে হত্যা মামলার দাবি ইনুর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৪
খালেদার বিরুদ্ধে হত্যা মামলার দাবি ইনুর ছবি: রেহানা/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: শিশু জিহাদের অপমৃত্যুর জন্য যদি ওয়াসার প্রকৌশলী ও ঠিকাদারের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হতে পারে, তাহলে বাসে পেট্রোল বোমা মেরে ঘুমন্ত যাত্রীদের হত্যা, রেললাইনের ফিস প্লেট খুলে মানুষ হত্যা, শিক্ষিকা হত্যার উস্কানিদাতা হিসেবে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধেও হত্যা মামলা হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনী মিলনায়তনে ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্রাব) এজিএম’র প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।



মন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যম ও পুলিশ প্রশাসন আইনের শাসনের পরিপূরক। এরা চাইলে সমাজ দুর্নীতিমুক্ত হবে। তবে পুলিশ ও গণমাধ্যমের উচিত কারো মুখের দিকে না তাকিয়ে সংবাদ পরিবেশন ও ব্যবস্থা নেওয়া।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক কারণে যে অপরাধ সংঘটিত হয় তা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থাকতে পারে না। ক্ষমতা ধরে রাখতে, প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে, রেললাইনের ফিস প্লেট খুলে মানুষ হত্যা করলে, বোমা মেরে মানুষ পুড়িয়ে মারলে, শিক্ষিকা হত্যা করার অপরাধের মদদদাতা হিসেবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা উচিত এবং এর যৌক্তিকতা তুলে ধরাও গণমাধ্যমের কাজ।

ইনু বলেন, আইনের প্রয়োগ হলো অপরাধ দেখে, এখানে কে কত বড় নেতা বা নেত্রী তা দেখে না। খালেদা জিয়া এদেশের জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদেরও মদদদাতা। এ অপরাধেও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত পুলিশের।

এ সময় আইজিপি হাসান মাহমুদ বলেন, মিডিয়াকে অবহেলা করে পুলিশ চলতে পারে না। একটি কথা আছে- পাওয়ার অব পুলিশ, পাওয়ার অব কোয়াপারেশন। আমাদের পারস্পারিক শ্রদ্ধা, সম্মান থাকলেই পুলিশের সঙ্গে মিডিয়ার সম্পর্ক দিন দিন বৃদ্ধি পাবে।

ডিএমপি কমিশনার বেনজীর আহমেদ বলেন, সাংবাদিক এবং পুলিশ সব সময়ই এক সঙ্গে কাজ করে। আমরা কেউই কারো প্রতিপক্ষ নই। কেউ কাউকে শত্রুও মনে করি না। তবে মাঝে মাঝে আমরা কিছু বিতর্কিত পরিস্থিতিতে পড়ি। তবে প্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগ ও পারস্পারিক শ্রদ্ধা বজায় থাকলে এই সমস্যা দূর করা অসম্ভব নয়।

তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকদের কাজে ঝুঁকি রয়েছে। তবে ঘোষিত ওয়েজ বোর্ডের মাধ্যমেই এর সমাধান সম্ভব। আমি চাই প্রথমে সব হাউজগুলো ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন করুক।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, মানুষ শান্তি চায়। তারা গণতন্ত্রের নামে বোমাবাজি, গুপ্ত হত্যা, ককটেলবাজি পছন্দ করে না।

এ সময় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা বলেন, আইসিটি আইনের জামিন অযোগ্যতাকে কালো আইন বলা যায়। এটা সংশোধন করা উচিত।

অনুষ্ঠানে ক্রাবের বর্তমান সভাপতি আখতারুজ্জামান লাবলুসহ সাবেক সভাপতিরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।