ঢাকা: আমাদের পার্টিতে অনেক শিল্পপতি রয়েছেন। আমি নিজেও একজন ছোট-খাটো শিল্পপতি।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মহাসমাবেশের খরচের উৎস সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে দলটির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু এ কথা বলেন।
জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, ‘জাতীয় পার্টির নেতা সালমা ইসলাম শিল্পপতি, ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ শিল্পপতি। তারা সমাবেশের জন্য অর্থ দিচ্ছেন। আমি নিজেও ছোট-খাটো শিল্পপতি। আমিও কন্ট্রিবিউট করছি। ’
তিনি বলেন, দলীয় এমপিরা তাদের এক মাসের বেতন (১লাখ ৫হাজার) সমাবেশের জন্য দিচ্ছেন। এছাড়া প্রেসিডিয়াম সদস্যরা প্রত্যেকে ১ লাখ করে, ভাইস-চেয়ারম্যানগণ ২৫ হাজার টাকা করে, অন্যান্য সম্পাদকমন্ডলী ও কর্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা চাঁদা দিচ্ছেন।
সমাবেশ উপলক্ষে কোনো চাঁদাবাজি হচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি চাঁদাবাজি করে না। কোনো নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির প্রমাণ পাওয়া গেলে তাকে তাৎক্ষণিক দল থেকে বহিস্কার করা হবে।
জাপা মহাসচিব বিষ্ময় প্রকাশ করে বলেন, আওয়ামী লীগ-বিএনপি সমাবেশ করলে সেখানেতো অর্থের উৎস নিয়ে প্রশ্ন করা হয় না। জাতীয় পার্টির ক্ষেত্রে কেন এই প্রশ্ন আসে।
জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, আমরা এই আয় ব্যয় নির্বাচন কমিশনে দাখিল করবো। তখন আপনারা দেখতে পাবেন।
বিএনপির মহাসমাবেশ করতে না দেওয়া প্রসঙ্গে জাপা মহাসচিব বলেন, ওনি (খালেদা জিয়া) রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের সৃষ্টি করেছেন। আজ তার শিকার হচ্ছেন। তারা (বিএনপি) জাতীয় পার্টির ১৪৫টি সভায় ১৪৪ ধারা জারি করে বন্ধ করে দিয়েছিলো। আজকে তারা ১৪৪ ধারা নামক বিষবৃক্ষের শিকার হচ্ছে।
হরতালের আগের দিন বাসে অগ্নিসংযোগ ও শিক্ষিকা হত্যার নিন্দা জানিয়ে জাপা মহাসচিব বলেন, বিএনপির মানুষের প্রতি দয়া মায়া নেই। দায়বদ্ধতাও নেই। যে কারণে এভাবে জ্বালাও পোড়াও করতে পারছে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১ জানুয়ারির মহাসমাবেশ সম্পর্কে বলেন, ‘জাপা এখন অন্যতম বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। আমরা ঐতিহাসিক স্থানে যাচ্ছি বিজয় নিশান উড়ানোর জন্য। সেখানে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখবেন। ’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মহানগর দক্ষিণ সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, যুবসংহতির সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৪